আদরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণির "আমাদের পৃথিবী" ( "ভূগোল" ) বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় "নদী" অংশটির একাধিক প্রশ্ন ও তার উত্তর। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। সপ্তম শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 7th Geography Question and Answer / সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – "নদী" (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Geography / সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – পঞ্চম অধ্যায় "নদী" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 7th Geography Question and Answer / সপ্তম শ্রেণির ভূগোল (পঞ্চম অধ্যায়) "নদী" প্রশ্ন উত্তর (সকল প্রশ্নোত্তর একসঙ্গে)/Class 7 geography fifth chapter Nadi (River) questions and Answers / সপ্তম শ্রেণির আমাদের পৃথিবী পঞ্চম অধ্যায় "নদী"।
বোর্ড :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শ্রেণি :- সপ্তম শ্রেণি
বিষয় :- ভূগোল (আমাদের পৃথিবী)
অধ্যায় :- পঞ্চম অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- নদী
১) ভারতের আদর্শ নদী কোনটি?
উত্তর:- গঙ্গা।
২) নদী প্রবাহের পরিমাপের একক কী?
উত্তর:- কিউসেক বা কিউমেক।
৩) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী কোনটি?
উত্তর:- আমাজন।
৪) পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তর:- নীল নদ।
৫) শিবসমুদ্রম জলপ্রপাতটি কোন নদীর উপর গড়ে উঠেছে?
উত্তর:- কাবেরী নদী।
৬) নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উত্তর:- সেন্ট লরেন্স নদী।
৭) ভারতের বৃহত্তম জলপ্রপাত কোনটি?
উত্তর:- যোগ জলপ্রপাত বা গারসোপ্পা।
৮) শুষ্ক অঞ্চলের গিরিখাত কী নামে পরিচিত?
উত্তর:- ক্যানিয়ন।
৯) নদীর কয়টি গতি আছে ও কী কী?
উত্তর:- নদীর তিনটি গতি আছে। যথা - উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ, মধ্যগতি বা এবং নিম্নগতি বা সমভূমি প্রবাহ।
১০) উচ্চগতিতে নদী কোন কাজ করে?
উত্তর:- উচ্চগতিতে নদী ক্ষয় কাজ করে।
১১) মধ্য গতিতে নদী কোন কাজ করে?
উত্তর:- মধ্য নদী বহন কাজ করে।
১২) নিম্ন গতিতে নদী কোন কাজ করে?
উত্তর:- নিম্ন গতিতে নদী সঞ্চয় কাজ করে।
১৩) নদীর কোন গতিতে মিয়েন্ডার সৃষ্টি হয়?
উত্তর:- মধ্যগতি তে।
১৪) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী বদ্বীপ কোনটি?
উত্তর:- গঙ্গা ব্রহ্মপুত্রের মিলিত বদ্বীপ।
১৫) যোগ জলপ্রপাতটি কোন নদীতে দেখা যায়?
উত্তর:- সরাবতী নদীতে।
১৬) পৃথিবীর মোট স্থলভাগের কত শতাংশ স্থানে নদীর কাজ দেখা যায়?
উত্তর:- ষাট শতাংশে।
১৭) পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত ( ক্যানিয়ন ) এর নাম কী?
উত্তর:- গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
১৮) ভারতের কোন নদীর মোহনায় বদ্বীপ নেই?
উত্তর:- নর্মদা ও তাপ্তি।
১৯) নদী কখন এঁকেবেঁকে চলে?
উত্তর:- ভূমির ঢাল কম হলে।
২০) দোয়াব শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:- দুটো নদীর মধ্যবর্তী স্থান।
২১) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা কোনটি?
উত্তর:- আমাজন নদীর অববাহিকা।
২২) ভারতের একটি অন্তর্বাহিনী নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর:- ভারতের লুনি। এছাড়া রাশিয়ার আমুদরিয়া।
২৩) একটি আন্তর্জাতিক নদীর উদাহরণ দাও?
উত্তর:- সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, ইউরোপের রাইন, দানিয়ুব ইত্যাদি।
২৪) দুটি নিত্যবহ নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর:- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র।
২৫) দুটি অনিত্যবহ নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর:- বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী, বীরভূমের অজয়।
২৬) আদর্শ নদী কাকে বলে?
উত্তর:- যে সব নদীতে উচ্চগতি, মধ্যগতি এবং নিম্নগতি এই তিনটি প্রবাহ স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাদের আদর্শ নদী বলে। যেমন - ভারতের গঙ্গা।
২৭) বদ্বীপ দেখতে কেমন?
উত্তর:- মাত্রাহীন ব অক্ষর বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টার মতো।
২৮) খাঁড়ি কাকে বলে?
উত্তর:- কিছু নদীর মোহনায় জোয়ারের সময় নোনা জল নদীতে ঢুকে ফানেলের মতো আকৃতির চওড়া যে মোহনা সৃষ্টি করে, তাকে খাঁড়ি বলে। সুন্দরবন অঞ্চলের নদনদীতে খাঁড়ি দেখা যায়।
২৯) জলপ্রপাতের নিচে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে?
উত্তর:- প্রপাতকূপ।
৩০) গিরিখাত দেখতে কেমন হয়?
উত্তর:- ইংরেজি V ( ভি ) অক্ষরের মতো।
৩১) নদী উপত্যকা কাকে বলে?
উত্তর:- উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত অংশে যে সু দীর্ঘ খাতের ভিতর দিয়ে নদী জল বয়ে নিয়ে যায়, তাকে বলা হয় নদী খাত বা নদী - উপত্যকা।
৩২) ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?
উত্তর:- উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদী সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদী দিয়ে গঠিত হয় একটি মূল নদী বা প্রধান নদী। পার্বত্য অঞ্চলে এরূপ একটি মূল্ নদী এবং তার উপনদী ও শাখা নদী বিধৌত অঞ্চলকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে।
৩২) সব নদীতে বদ্বীপ সৃষ্টি হয় না কেন?
অথবা
বদ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ গুলি আলোচনা করো।
উত্তর :- সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গঠিত হয় না। এর কারণ গুলি হল-
১) নদী দ্রুত গতিতে সমুদ্র পড়লে মোহনায় পলি না জমে সমুদ্রের অনেক দূরে চলে যায়।
২) যে নদীর ক্ষয় কাজ কম সেই নদীতে পলির অভাবে বদ্বীপ গঠন হয় না।
৩) নদীর মোহনার কাছে প্রবল সমুদ্রস্রোত বা জোয়ার থাকলে বদ্বীপ গঠন হয় না।
৪) মোহনায় সমুদ্র যদি গভীর হয়, সেক্ষেত্রে বদ্বীপ গঠন হয় না।
৫) সমুদ্র জলে লবনের পরিমাণ বেশি না থাকলে নদী বাহিত পলি মোহনায় দ্রুত অধঃক্ষিপ্ত হতে না পেরে বদ্বীপ গঠন করে না।
৩৩) জলপ্রপাত কাকে বলে?
উত্তর :- পার্বত্য অঞ্চলে কঠিন শিলা ও কোমল শিলা পাশাপাশি অবস্থান করলে বৈষম্যমূলক ক্ষয়ের ফলে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। তখন জলরাশি খাড়া ঢাল থেকে থেকে সোজা নিচে এসে পড়লে তাকে জলপ্রপাত বলে।
৩৪) গিরিখাত ও ক্যানিয়ন -এর মধ্যে তুলনা করো।
উত্তর:- গিরিখাত:
১) উৎপত্তি :- নদীর উচ্চ গতিতে বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়।
ক্যানিয়ন :-
১) উৎপত্তি :- বৃষ্টিহীন শুষ্ক বা মরু প্রায় অঞ্চলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয়।
গিরিখাত :-
২) আকৃতি :- গিরিখাত V আকৃতির খুব গভীর ও সংকীর্ণ।
ক্যানিয়ন :-
২) আকৃতি :- ক্যানিয়ন I আকৃতির অত্যন্ত গভীর ও খুব সংকীর্ণ হয়।
গিরিখাত :-
৩) ক্ষয় কাজ :- নদীতে পার্শ্ব ক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশি হয়।
ক্যানিয়ন :-
৩) ক্ষয় কাজ :- নিম্ন ক্ষয় বেশি হয়, পার্শ্ব ক্ষয় প্রায় হয় না।
( এই প্রশ্নটির উত্তর তোমরা পার্থক্যের আকারে খাতায় লিখে নেবে )
৩৫) মন্থ কূপ কী?
উত্তর :- পার্বত্য প্রবাহে নদীর জলের সঙ্গে বাহিত পাথর খণ্ড, নুড়ি, বালি প্রভৃতি ঘুরতে ঘুরতে অগ্রসর ও অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি করে। এই গর্তগুলিকে মন্থকূপ বলে।
সপ্তম শ্রেণির পঞ্চম অধ্যায় ( নদী ) থেকে এই প্রশ্নের উত্তর গুলি অবশ্যই তোমরা করবে, তাহলে তোমরা আগামী পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করতে পারবে।
নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর পেতে অবশ্যই সার্চ করো www.rajeshsir.in
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন