স্নেহের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial -এ তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় "পরিবেশ ও বনভূমি" অংশটি। তোমাদের পাঠ্য বইয়ের ১২০ পৃষ্ঠা থেকে ১২৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অংশের সমস্ত প্রশ্নোত্তর এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের Annual পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দর ভাবে লেখা হয়েছে যা তোমরা অন্য কোথাও পাবে না। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। পঞ্চম শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
West Bengal board of Secondary education class 5 "Amader parivesh" 6th chapter "Parivesh O Bonobhumi" page number 120 to 128 important question and answer.
*"পরিবেশ ও বনভূমি" অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর*
শ্রেণি :- পঞ্চম শ্রেণি
বিষয় :- আমাদের পরিবেশ
অধ্যায় :- পরিবেশ ও বনভূমি
পৃষ্ঠা নম্বর :- ১২০-১২৮
১) দুটি নরম কাণ্ডের গাছের নাম লেখো।
উত্তর :- কলা, পেঁপে।
২) সমাজভিত্তিক বন কাকে বলে?
উত্তর :- লোকালয়ের মাঝেই জনগণের সহায়তায় ছোটো ছোটো বন তৈরি হচ্ছে। এগুলোকে বলে সমাজভিত্তিক বন।
৩) বিশালাক্ষীর আম বাগানে কতগুলি আম গাছ আছে?
উত্তর :- কমপক্ষে ২০০০ আম গাছ আছে।
৪) বিশালাক্ষীর মন্দির কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- বিশালাক্ষীর আমবাগান থেকে একটু গেলেই বিশালাক্ষীর মন্দির।
৫) বিশালাক্ষীর আম বাগানের গাছগুলি কত বছরের পুরোনো?
উত্তর :- প্রায় তিন - চারশো বছরের পুরোনো।
৬) দৌলত মাজারের বনে কী কী গাছ আছে?
উত্তর :- শাল, শিশু, গামার ইত্যাদি।
৭) দৌলত মাজারের বনে কেউ গাছ কাটে না কেন?
উত্তর :- ভিতরে মাজার আছে। গাছ কাটা নিষেধ। তাই কেউ গাছ কাটে না।
৮) "মাজার" বলতে কী বোঝো?
অথবা
"মাজার" শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- পির সাহেবের কবরস্থান।
৯) "বনে থাকে বাঘ" কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১০) রবীন্দ্রনাথ যখন "বনে থাকে বাঘ" কবিতাটি লেখেন তখন ভারতবর্ষে বাঘের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর :- ৪০ হাজারের বেশি।
১১) বর্তমানে ভারতবর্ষে বাঘের সংখ্যা কত?
উত্তর :- দু হাজারেরও কম।
১২) মানুষ বাঘ মারতো কেন?
উত্তর :- শিকারের জন্য মানুষ বাঘ মারত। বন্দুক দিয়ে বাঘ মারতে পারলে লোকজন তাকে বীর ভাবতো তাই বাঘ মারত। নিজে বাঘ মেরেছে এমন ছবি ঘরে টাঙিয়ে রাখত।
১৩) মানুষ চিতা মেরেছে কেন?
উত্তর :- শিকারের জন্য।
১৪) কোন পাখির পালক ছিল খুব সুন্দর?
উত্তর :- হুইয়া পাখির।
১৫) মানুষ হুইয়া পাখি মেরেছে কেন?
উত্তর :- হুইয়া পাখির পালক ছিল সুন্দর। সেই পালক ঘরে রাখবে বলে মানুষ তাদের মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে।
১৬) মানুষ গন্ডার মারে ( শিকার করে ) কেন?
উত্তর :- গন্ডারের খড়্গের জন্য।
১৭) মানুষ হাতি মারে কেন?
উত্তর :- মানুষ হাতি মারে তার লম্বা দুটো দাঁতের জন্য।
১৮) পীর সাহেবের কবরস্থানকে কী বলে?
উত্তর :- মাজার।
১৯) দুটি লতানো বা বিরূৎ জাতীয় গাছের নাম লেখো।
উত্তর :- অপরাজিতা, কুমড়ো, লাউ ইত্যাদি।
২০) চাষ করতে শেখার পর মানুষ বন কাটার জন্য কী বানালো?
উত্তর :- ধারালো অস্ত্র বা কুঠার।
২১) মানুষ বন কাটতে শুরু করল কেন?
অথবা
বনের পরিমাণ কমতে লাগলো কেন?
উত্তর :- চাষ করতে শেখার আগে মানুষ বিশেষ গাছ কাটতো না। মানুষ চাষ করতে শেখার পর গাছ কাটার ধারালো অস্ত্র বানালো। তারপর চাষের জমি বাড়াতে গিয়ে গাছ কাটতে শুরু করল। এভাবে বনের সংখ্যা কমে এলো।
২২) সমাজে খাদ্যের অভাব কেন শুরু হল?
উত্তর :- শহর ও কলকারখানা বাড়তে থাকায় চাষের জমি কমে যায়। ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে, খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
২৩) আগে রাজারা বনের ওপর নজর রাখতো কেন?
অথবা
প্রাচীনকালে রাজাদের কাছে হাতি-বনগুলির খুব গুরুত্ব ছিল কেন?
উত্তর :- অনেককাল আগে ভারতে রাজারা বনের ওপর কড়া নজর রাখত। বন থেকে কাঠ তো পাওয়া যেতই এমনকি হাতিও পাওয়া যেত। যে বনে হাতি থাকত তার উপর রাজার দখল ছিল। সেই হাতি রাজা সেনাবাহিনীতে কাজে লাগত। ভারতবর্ষে হাতি যুদ্ধের কাজে খুব ব্যবহার হতো। তাই হাতি-বনগুলির খুব গুরুত্ব ছিল।
২৪) বন্যপশুরা লোকালয়ে চলে আসছে কেন?
উত্তর :- বন ধ্বংসের ফলে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব হওয়ায় পশুরা লোকালয়ে চলে এসে ফসল ও ঘরবাড়ি নষ্ট করছে।
২৫) সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে?
উত্তর :- কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা জনগণের সহায়তায় গ্রামাঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশের উন্নতির উদ্দেশ্যে অনাবাদি, পতিত জমিতে বনভূমি সৃষ্টি করাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
২৬) বন থেকে আমরা কী কী পাই?
অথবা
গাছ আমাদের কী কী উপকার করে?
উত্তর :- বনভূমি আমাদের নানারকম উপকার করেন। যেমন -
i) গাছপালা থেকে আমরা অক্সিজেন পাই।
ii) বনভূমির জন্যই কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
iii) গাছপালা বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
iv) বনভূমি মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ করে।
v) বনভূমি ধ্বংস হলে কোনো অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে।
vi) বনভূমির গাছের পাতা, ফুল, ফল প্রভৃতি পচে মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
vii) বন থেকে ফলমূল, কাঠ, মধু প্রভৃতি সংগ্রহ করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
২৭) আমরা কী কী ভাবে বনভূমি সংরক্ষণ করতে পারি?
উত্তর :- বনভূমি তথা গাছপালা আমাদের নানাভাবে উপকার করে। তাই আমাদের উচিত বনভূমি সংরক্ষণ করা। আমরা নানাভাবে বনভূমি সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন -
i) অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
ii) অপরিণত গাছ কাটার পরিবর্তে পরিণত গাছগুলি কাটা উচিত।
iii) দাবানলের প্রভাবে প্রচুর গাছপালা নষ্ট হয়। তাই দাবানল প্রতিরোধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
iv) বনভূমিতে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
v) পতিত জমিতে নতুন করে বনভূমি গড়ে তুলতে হবে।
২৮) সাহেব জেনের বন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- দৌলত মাজারের বন থেকে উত্তর দিকে আরও পাঁচ কিলোমিটার দূরে সাহেব জেনের বন অবস্থিত।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন