আদরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় "মানুষের শরীর" অংশটির একাধিক প্রশ্ন ও তার উত্তর। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে শর্ট প্রশ্নের কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তরগুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6 poribesh O bigyan Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান – " মানুষের শরীর" (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 6 Poribesh O Bigyan/ ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান – অষ্টম অধ্যায় "মানুষের শরীর" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6 'Science' 8th Chapter "Human Body" Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান (অষ্টম অধ্যায়) "মানুষের শরীর" প্রশ্ন উত্তর (সকল শর্ট প্রশ্নোত্তর একসঙ্গে)/Class 6 "Poribesh o bigyan" eighth chapter questions and Answers / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় "মানুষের শরীর"।
বোর্ড :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শ্রেণি :- ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় :- পরিবেশ ও বিজ্ঞান
অধ্যায় :- অষ্টম অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- মানুষের শরীর।
১)বক্ষাস্থি কাকে বলে?
উত্তর :- বুকের মাঝখানে যে শক্ত হাড় তাকে বলা হয় বক্ষাস্থি।
২) শিরদাঁড়া কাকে বলে?
উত্তর :- মানবদেহে পিঠের মাঝ বরাবর যে শক্ত হাড় রয়েছে তা হলো শিরদাঁড়া।
৩) জীবদেহের একককে কী বলা হয়?
উত্তর :- কোশ।
৪) রক্তবাহ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- রক্তবাহ তিন প্রকার- শিরা, ধমনী ও জালক।
৫) ধমনি কাকে বলে?
উত্তর :- যে রক্তবাহের মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে প্রবাহিত হয় তার নাম ধমনি।
৬) শিরা কাকে বলে?
উত্তর :- যে রক্তবাহের মাধ্যমে রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে যায় তাকে বলা হয় শিরা।
৭) ধমনি কী ধরনের রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বা বিশুদ্ধ রক্ত।
৮) শিরা কী ধরনের রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- দূষিত রক্ত বা কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত।
৯) রক্ত সংবহনের প্রধান অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- হৃদপিণ্ড।
১০) মানব হৃদপিন্ডে কয়টি প্রকোষ্ঠ ও কী কী?
উত্তর :- মানব হৃদপিন্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ। এগুলি হল - ডান অলিন্দ , বাম অলিন্দ, ডান নিলয় এবং বাম নিলয়।
১১) ডান অলিন্দ এবং ডান নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর :- ত্রিপত্র কপাটিকা।
১২) বাম অলিন্দ এবং বাম নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর :- দ্বিপত্রক কপাটিকা।
১৩) হৃদপিন্ডের সবচেয়ে বড় প্রকোষ্ঠ বা কুঠুরি কোনটি?
উত্তর :- বাম নিলয়।
১৪) কোন শিরা বিশুদ্ধ রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- ফুসফুসীয় শিরা।
১৫) কোন ধমনি দূষিত রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- ফুসফুসীয় ধমনি।
১৬) মানব দেহে হৃদস্পন্দনের হার কত?
উত্তর :- মিনিটে ৭২ থেকে ৮০ বার।
১৭) হৃদস্পন্দন কাকে বলে?
উত্তর :- হৃদপিন্ডের সংকোচন এবং প্রসারণকে একসঙ্গে হৃদস্পন্দন বলে।
১৮) হৃদপিন্ডের সংকোচনকে কী বলা হয়?
উত্তর :- সিস্টোল।
১৯) হৃদপিন্ডের প্রসারণকে কী বলা হয়?
উত্তর :- ডায়াস্টোল।
২০) রক্ত তঞ্চনে সাহায্যকারী প্রোটিনটির নাম লেখো।
উত্তর :- ফাইব্রিনোজেন।
২১) রক্তকণিকা কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- রক্তকণিকা তিন প্রকার। যথা -
ক) লোহিত রক্তকণিকা
খ) শ্বেত রক্তকণিকা এবং
গ) অনুচক্রিকা।
২২) লোহিত রক্তকণিকার কাজ কী?
উত্তর :- শ্বাস বায়ুর পরিবহন অর্থাৎ ফুসফুসের কাছ থেকে অক্সিজেনকে নিয়ে সারা দেহে তা পরিবহন করা।
২৩) শ্বেত রক্ত কণিকার কাজ কী?
উত্তর :- বাইরে থেকে আসা রোগ জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে তাদের ধ্বংস করা।
২৪) অনুচক্রিকার কাজ কী?
উত্তর :- রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
২৫) রক্তের রং লাল কেন হয়?
উত্তর :- হিমোগ্লোবিন থাকে বলে।
২৬) হৃদপিন্ডের আবরণীকে কী বলে?
উত্তর :- পেরিকার্ডিয়াম।
২৭) টিকা ( Vaccine ) দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন দুটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর :- টিটেনাস এবং ডিপথেরিয়া।
২৮) মানবদেহের রক্তের শ্বাসরঙ্গকটির নাম কী?
উত্তর :- হিমোগ্লোবিন।
২৯) হৃদপিন্ডের পেসমেকার কাকে বলা হয়?
উত্তর :- S.A নোড।
৩০) রক্তের জীবাণুনাশক উপাদান কোনটি?
উত্তর :- শ্বেত রক্তকণিকা।
৩১) রক্ত কী ধরনের কলা?
উত্তর :- রক্ত এক প্রকার তরল যোগ কলা।
৩২) আমাদের লালায় জীবাণু ধ্বংসকারী কোন পদার্থ থাকে?
উত্তর :- লাইসোজাইম।
৩৩) আমাদের পাকস্থলীতে জীবাণুনাশক কোন পদার্থ থাকে?
উত্তর :- হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড।
৩৪) রক্তরসের মধ্যে কত পরিমান জল থাকে?
উত্তর :- শতকরা ৯০ শতাংশ।
৩৫) মানবদেহের প্রধান শ্বাস অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- ফুসফুস।
৩৬) ফুসফুসের আবরণীকে কী বলা হয়?
উত্তর :- প্লুরা।
৩৭) ফুসফুসের রং কেমন?
উত্তর :- ফুসফুসে রং কালচে গোলাপি।
৩৮) ফুসফুসে কতগুলি বায়ুথলি থাকে?
উত্তর :- প্রতিটি ফুসফুসে প্রায় ১০ কোটি বায়ুথলি থাকে।
৩৯) ফুসফুস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসনালির শাখা-প্রশাখা যেখানে শুরু হচ্ছে সেখান থেকে ছোট ছোট বায়ুথলি পর্যন্ত বুকের দুদিকে থাকা দুটো যন্ত্রের নামই ফুসফুস।
৪০) বাম ফুসফুসে কতগুলি খন্ড আছে?
উত্তর :- দুটি।
৪১) ডান ফুসফুসে কতগুলি খন্ড আছে?
উত্তর :- তিনটি।
৪২) মানুষের দুটি শ্বাসপেশির নাম লেখো।
উত্তর :- পঞ্জর পেশি এবং মধ্যচ্ছদা।
৪৩) প্রশ্বাস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসপেশির সাহায্যে একবার আমাদের বুকের খাঁচা ফুলিয়ে তোলা হয়, তখন বাতাস ভেতরে ঢোকে। একে বলে প্রশ্বাস।
৪৪) প্রশ্বাসের সময় আমরা কোন গ্যাস গ্রহণ করি?
উত্তর :- অক্সিজেন।
৪৫) নিঃশ্বাস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসপেশি গুলো ঢিলে হয়ে গেলে বুকের খাঁচা চূ্পসে যায়, আর বাতাস ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। একে বলে নিঃশ্বাস।
৪৬) আমরা নিঃশ্বাসের সময় কোন গ্যাস ত্যাগ করি?
উত্তর :- কার্বন ডাই অক্সাইড।
৪৭) মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- বৃক্ক বা কিডনি।
৪৮) বৃক্ক দেখতে কেমন?
উত্তর :- শীম বীজের মতো।
৪৯) বৃক্কের রং কেমন?
উত্তর :- কালচে বাদামি।
৫০) মুত্র কোথায় তৈরি হয়?
উত্তর :- বৃক্কে।
৫১) বৃক্কের কাজ কী?
উত্তর :- বৃক্ষ ছাঁকনির মত রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ গুলোকে আলাদা করে নেয় এবং সেগুলি দেহ থেকে বের করে দেয়।
৫২) অস্থি বা হাড় কী?
উত্তর :- অস্থি হলো এক ধরনের কঠিন যোগ কলা।
৫৩) লিগামেন্ট কী?
উত্তর :- অস্থিগুলো অস্থিসন্ধিতে যে সুতো বা দড়ির মতো জিনিস দিয়ে বাঁধা থাকে, তাকে লিগামেন্ট বলে।
৫৪) অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর :- পাশাপাশি থাকা দুটো হাড় যেখানে একে অপরের সঙ্গে লিগামেন্ট দিয়ে বাঁধা থাকে সেই জায়গাটাকে অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড় বলে।
৫৫) টেনডন কী?
উত্তর :- যে স্থিতিস্থাপক দড়ির মতো জিনিস দিয়ে মাংসপেশি অস্থিসন্ধিগুলোর সামনে, পেছনে বা যে-কোন পাশ দিয়ে অস্থি ও নিচের অস্থির সঙ্গে বাঁধা থাকে, তাকে টেনডন বলে।
৫৬) একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে কতগুলি হাড় থাকে?
উত্তর :- ২০৬ টি।
৫৭) জন্মের সময় একজন শিশুর কতগুলি হাড় থাকে?
উত্তর :- ৩০০ টি।
৫৮) দুটি সচল অস্থি সন্ধির নাম লেখো।
উত্তর :- বলে ও সকেট সন্ধি, হিঞ্জ সন্ধি, পিভট সন্ধি।
৫৯) দুটি অচল অস্থি সন্ধির নাম লেখো।
উত্তর :- মাথার খুলি, দন্তমূল ও চোয়াল।
৬০) বল ও সকেট সন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর :- কাঁধ ও কোমরে।
৬১) হিঞ্জ সন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর :- হাঁটু এবং কনুইতে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন