স্নেহের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা, এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় "নগর, বণিক ও বাণিজ্য"। এই অধ্যায়টি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে একাধিক প্রশ্ন আসবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই অনুশীলন করবে।।
শ্রেণি :- সপ্তম শ্রেণি
অধ্যায় :- ষষ্ঠ অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- নগর, বণিক ও বাণিজ্য।
প্রতিটি প্রশ্নের মান :- ১
১) খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে বিকাশ ঘটেছিল এমন কয়েকটি শহরের নাম লেখো।
উত্তর :- দিল্লি, আগ্রা, লাহোর।
২) মহাভারতে উল্লিখিত কোন নগরকে আধুনিক দিল্লি নগরীর আদি রূপ বলে মনে করা হয়?
উত্তর :- ইন্দ্রপ্রস্থ।
৩) "কসবা" শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- শহরতলি।
৪) সুলতান ইলতুৎমিস দ্বারা খনন করানো জলাধারটির নাম কী?
উত্তর :- হৌজ - ই - শামসি বা হৌজ - ই - সুলতানি।
৫) আলাউদ্দিন খলজী হৌজ - ই - আলাই নামে যে জলাধার টি খনন করেন পরে তার নাম কী হয়?
উত্তর :- হৌজ ই খাস।
৬ ) মোহর বা আশরাফি কী?
উত্তর :- মোগল আমলের সোনার মুদ্রা।
৭) রুপায়া কী?
উত্তর :- মোগল আমলের রুপোর মুদ্রা।
৮) দাম কী?
উত্তর :- মোগল আমলে তামার মুদ্রা।
৯) হোন কী?
উত্তর :- দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগরের সোনার মুদ্রার নাম ছিল হোন।
১০) সুলতানি ও মোগল আমলে কোন বন্দর দুটি বাণিজ্যের প্রবেশ পথ নামে বিখ্যাত ছিল?
উত্তর :- গুজরাটের ব্রোজ ও ক্যাম্বে।
১১) সরাফ বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- আজকের দিনের ব্যাংকের মতো যারা মধ্যযুগের ভারতে টাকা বিনিময় এবং ধাতুর মুদ্রা পরীক্ষার কাজ করতো, তাদের বলা হত সরাফ।
১২) হুন্ডি কী?
উত্তর :- তুর্কি শাসকদের আমলে সরাফরা যে কাগজের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকার লেনদেন করতেন তার নাম ছিল হুন্ডি।
১৩) বাংলা ভাষায় ওলন্দাজ কাদের বলা হত?
উত্তর :- নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ড দেশের অধিবাসী ডাচদের বাংলা ভাষায় ওলন্দাজ বলা হয়।
১৪) খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের ভারতে ইউরোপীয়দের প্রধান বাণিজ্য ঘাঁটি কোনগুলি ছিল?
উত্তর :- সুরাট, পুলিকট, মসুলিপত্তম এবং হুগলি।
১৫) ভাস্কো দা গামার পর ফোন পোর্তুগিজ নাবিক ভারতে আসেন?
উত্তর :- আলবুকার্ক।
১৬) "নগর" শব্দটি কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর :- সংস্কৃত।
১৭) "শহর" শব্দটি কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর :- ফারসি।
১৮) হৌজ বা তালাও শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- জলাধার।
১৯) মুঘল আমলে বাংলার একটি বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর :- সপ্তগ্রাম।
২০) বাংলায় পোর্তুগিজদের প্রধান ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর :- ব্যান্ডেল।
২১) বাংলায় দিনেমারদের প্রধান ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর :- শ্রীরামপুর।
২২) বাংলায় ফরাসিদের প্রধান ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর :- চন্দননগর।
২৩) বাংলা ইংরেজদের প্রধান ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর :- কলকাতা।
২৪) নেহর - ই - বিহিশত কথাটির অর্থ কী?
উত্তর :- স্বর্গের খাল।
২৫) ফিরোজাবাদ শহরটি কে তৈরি করেন?
উত্তর :- ফিরোজ শাহ তুঘলক।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩ অথবা ৪
২৬) মধ্যযুগের ভারতে কীভাবে নগর বা শহর গড়ে উঠতো?
উত্তর :- মধ্যযুগের ভারতে বাণিজ্য কেন্দ্র, তীর্থ কেন্দ্র, শিল্প কেন্দ্র ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ধীরে ধীরে নগর গড়ে উঠতে থাকে। বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে সুরাট, তীর্থকেন্দ্র হিসেবে কাশি, শিল্প কেন্দ্র হিসেবে আমেদাবাদ, ঢাকা এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে দিল্লি, আগ্রা ইত্যাদি শহর গড়ে ওঠে।
২৭) কেন, কোথায় শাহজাহানাবাদ শহরটি গড়ে উঠেছিল?
উত্তর :- মুঘল সম্রাট শাহজাহান আনুমানিক ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে শাহজাহানাবাদ শহরটি গড়ে তোলেন। অঞ্চলটি সুলতানি দিল্লির কিছুটা দূরে, যমুনার পশ্চিমে এক উঁচু জায়গায় অবস্থিত ছিল। যমুনা নদীর পাড় ভেঙ্গে আগ্রা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, শহরের পথঘাট ঘিঞ্জি হয়ে পড়া, আগ্রার প্রাসাদ দুর্গে স্থান সংকুলান না হওয়া ইত্যাদি নানা কারণে নতুন শহর শাহজাহানাবাদ গড়ে তোলা হয়।
২৮) কেন সুলতানদের সময়কার পুরনো দিল্লির আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়েছিল?
উত্তর :- তুর্কি বংশীয় শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলক গড়ে তোলেন ফিরোজাবাদ শহর। যমুনা নদীর পাড় বরাবর গড়ে ওঠায় এই শহরে জলের সমস্যা ছিল না। নদীপথে বয়ে আনা নানা জিনিস কম খরচে শহরে লোকেদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেত। ফলে পুরনো দিল্লির গরিমা আস্তে আস্তে ম্লান হতে থাকে।
২৯) ইউরোপীয় কোম্পানির কুঠি গুলি কেমন ছিল?
উত্তর :-১) ইউরোপীয় কোম্পানির কুঠি গুলি ছিল দুর্গের মত। এই সমস্ত কুঠি গুলিতে ইউরোপীয় বণিক কোম্পানিগুলি অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখত।
২) কোটিগুলি কে ইউরোপীয় বণিকরা বাসগৃহ ও গুদাম হিসেবেও ব্যবহার করত।
৩) কুঠিগুলি বণিকদের পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষী, সেনা ও অন্যান্য কর্মচারীদেরও বাসস্থান ছিল।
৩০) মোগল শাসকরা কিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহ দিতেন?
উত্তর :- মোগল শাসকরা ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহ দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
১) মোগল শাসকরা পণ্যের উপর শুল্ক ছাড় দিয়ে বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধে করে দিতেন।
২) মোগল শাসকগণ ইউরোপীয় বণিকদের বিভিন্ন বাণিজ্য কেন্দ্রে কুঠি বানানোর অনুমতি দিতেন।
৩) মোগল সম্রাট রাজপুত্র এবং অভিজাতকরণ নিজেদের কারখানায় কারিগর নিয়োজিত করতেন।
৪) মোগল শাসকরা বণিক শ্রেণীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেন।
সপ্তম শ্রেণীর ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে এই প্রশ্নোত্তর গুলি একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই অনুশীলন করবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন