আদরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায় " পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি" অংশটি। তোমাদের পাঠ্য বইয়ের ৬২ পৃষ্ঠা থেকে ৭৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অংশের সমস্ত প্রশ্নোত্তর এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। পঞ্চম শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
West Bengal board of Secondary education class 5 "Amader parivesh" third chapter "paschim Banger sadharan pari Chiti" page number 62 to 77 important question and answer.
পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর।
Some important question and Answer for Class 5 Poribesh subject.
১) কোন জায়গার ভূমির ঢাল কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর :- জল যেদিকে গড়িয়ে পড়ে ভূমির ঢাল সেই দিকেই।
২) পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়?
উত্তর :- উত্তর থেকে দক্ষিন দিকে বা পশ্চিম থেকে পূর্বে।
৩) পশ্চিমবঙ্গের ভূমির ঢাল কোন দিকে?
উত্তর :- উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বা পশ্চিম থেকে পূর্বে।
৪) দামোদর নদ কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়েছে?
উত্তর :- পশ্চিম থেকে পূর্বে।
৫) দামোদর নদ কোথায় গিয়ে মিশেছে?
উত্তর :- গঙ্গায়।
৬) দামোদর যেখানে গঙ্গায় মিশেছে সেখানে নদীটির নাম কী?
উত্তর :- হুগলি নদী।
৭) হুগলি নদীর অপর নাম কী?
উত্তর :- ভাগীরথী - হুগলি।
৮) কোন কোন জেলা নিয়ে পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল গড়ে উঠেছে?
উত্তর :- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান।
৯) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের মাটি কেমন?
উত্তর :- কাঁকর ও পাথর মেশানো লাল মাটি। এই মাটি খুবই অনুর্বর।
১০) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির বর্ণনা দাও।
উত্তর :- পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল সমতল নয়। ঢেউ খেলানো প্রকৃতির। ভূমির মাঝে মাঝে উঁচু টিলা আর পাহাড় দেখা যায়।
১১) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে কী কী স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায়?
অথবা
পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে কী কী গাছ দেখা যায়?
উত্তর :- পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে প্রচুর শাল গাছের জঙ্গল আছে। এছাড়া মেহগনি, পলাশ, পিয়াল, ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুরি এবং কেন্দু গাছ দেখা যায়।
১২) শাল পাতা দিয়ে কী তৈরি হয়?
উত্তর :- শাল পাতা দিয়ে প্লেট, বাটি বানানো হয়।
১৩) কেন্দু পাতা কী কাজে লাগে?
উত্তর :- বিড়ি তৈরির কাজে লাগে।
১৪) পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চল কোন কোন জেলা নিয়ে গঠিত?
উত্তর :- পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলা, বাঁকুড়া জেলার পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব ভাগ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমভাগ রাঢ়ের অন্তর্গত। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার অংশবিশেষ ও হুগলি জেলার সামান্য অংশ রাঢ়ের অন্তর্গত।
১৫) দ্বারকেশ্বর নদ কোন দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে?
উত্তর :- বাঁকুড়া জেলার পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে।
১৬) তারকেশ্বর এবং শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহের নাম কী?
উত্তর :- রূপনারায়ণ।
১৭) দামোদর নদের একটি শাখা নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- মুন্ডেশ্বরী।
১৮) কেলেঘাই ও কংসাবতী নদীর মিলিত প্রবাহের নাম কী?
উত্তর :- হলদি নদী।
১৯) বীরভূম জেলার দুটি নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- অজয় এবং ময়ূরাক্ষী।
২০) রাঢ় অঞ্চলের মাটি কেমন?
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের সব জায়গায় উর্বর মাটি বেশিটা দোঁআশ মাটি কিছুটা এঁটেল মাটি। উত্তর আর পশ্চিম ধার বরাবর মাটির রং লালচে।
২১) রাঢ় অঞ্লে কী কী গাছ (স্বাভাবিক উদ্ভিদ) জন্মায়?
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে শাল, সেগুন, শিশু, মেহগনি, শিরীষ, আকাশমনি, কদম, বাবলা প্রভৃতি গাছ দেখা যায়।
২২) নিত্যবহ নদী কাকে বলে?
উত্তর :- যে সকল নদী বরফ গলা জলে পুষ্ট হওয়ায় সারা বছর জল থাকে তাকে নিত্যবহ নদী বলে।
উদাহরণ :- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা প্রভৃতি।
২৩) অনিত্যবহ নদী কাকে বলে?
উত্তর :- যে সকল নদী বর্ষার জলে পুষ্ট সেই নদীতে সারা বছর জল থাকে না। এদের অনিত্যবহ নদী বলে।
উদাহরণ :- দামোদর, অজয়, দ্বারকেশ্বর প্রভৃতি।
২৪) পর্বতের চূড়ায় বরফ জমে কেন?
উত্তর :- পুকুর - নদী - সমুদ্রের জল সূর্যের তাপে বাষ্প হয়ে ওপরে ওঠে যায়। ওপরের বাতাস ঠান্ডা। সেই বাষ্প জমে জল হয়। পর্বতের মাথায় ঠান্ডা বেশি বলে সেখানে তুষারপাত হয়। সেই তুষার বরফ হিসেবে জমা হয়।
২৫) গঙ্গা নদীর উৎস কোথায়?
উত্তর :- উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে।
২৬) গঙ্গা নদীর দুটি শাখা নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- ভাগীরথী এবং পদ্মা।
২৭) গঙ্গা নদী কোন সাগরে মিশেছে?
উত্তর :- বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
২৮) গঙ্গা নদীর গতিপথ আলোচনা করো। (মান - ৫)
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের প্রধান নদী গঙ্গা। গঙ্গা নদী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মধ্য দিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় ঢুকেছে। পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা নদী ভাগীরথী এবং পদ্মা এই দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। ভাগীরথী পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হলদিয়া পেরিয়ে আরও দক্ষিণে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
২৯) "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি" - গানটি কার রচনা?
উত্তর :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৩০) রবীন্দ্রনাথের বাবার জমিদারি কোথায় ছিল?
উত্তর :- শিলাইদহ -তে।
৩১) রবীন্দ্রনাথের বাড়ি কোথায় ছিল?
উত্তর :- কলকাতার জোড়াসাঁকোয়।
৩২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "আমার সোনার বাংলা" গানটি কখন রচনা করেন?
উত্তর :- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সময়।
৩৩) ইংরেজরা, বাংলাকে দু'ভাগে ভাগ করেছিল কেন?
অথবা
বঙ্গভঙ্গের কারণ বা উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর :- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সময় ইংরেজরা ভারতবর্ষকে শাসন করতো। ভারতীয়রা নিজেদের দেশ থেকে ইংরেজদের তাড়ানোর জন্য হিন্দু - মুসলিম একজোট হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ইংরেজরা একজোট হওয়া মানুষকে আলাদা করার জন্যই বাংলাকে দু ভাগে ভাগাভাগি করতে চেয়েছিল।
৩৪) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কোনটি?
উত্তর :- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
৩৫) বিদ্যাধরী নদীর কাছে কোন রাজার দুর্গ ছিল?
উত্তর :- চন্দ্রকেতু রাজার।
৩৬) নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তর :- পুরোনো যুগে নদীর ধারেই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। সেখানকার মানুষদের কাছে নদী ছিল মায়ের মতো। তাই ওইসব সভ্যতাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।
৩৭) সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তর :- সভ্য মানুষের নানান কার্যকর্মকে একসঙ্গে বলে সভ্যতা।
৩৮) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোন স্থানে একটা পুরোনো বনখন্ড আছে?
উত্তর :- পারমাদানে।
৩৯) বেথুয়াডহরি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- নদীয়া জেলায়।
৪০) বেথুয়াডহরির বনে কোন কোন গাছ আছে?
উত্তর :- শাল, সেগুন, মেহগনি, শিশু, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কদম প্রভৃতি।
৪১) সুন্দরবনের অবস্থান লেখো।
অথবা
সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- সুন্দরবনের বেশিরভাগ অংশটি বাংলাদেশে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অল্প কিছু অংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ - পূর্ব দিকের প্রায় পুরোটা জুড়েই সুন্দরবন অবস্থিত।
৪২) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কোথায় দেখা যায়?
উত্তর :- সুন্দরবনে।
৪৩) সুন্দরবনের কয়েকটি নদীর নাম লেখো।
অথবা
সুন্দরবনে কোন কোন নদী দেখা যায়?
উত্তর :- মাতলা, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল প্রভৃতি।
৪৪) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটি কেমন?
উত্তর :- সুন্দরবন অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত। মাটিতে বালি কম, কাদার ভাগ বেশি।
৪৫) সুন্দরবনের পশ্চিমবঙ্গের অংশে কতগুলি দ্বীপ আছে?
উত্তর :- ১৩৫ টি।
৪৬) সুন্দরবনের কতগুলি দ্বীপে মানুষ বসতি শুরু করেছে?
উত্তর :- ৩৫টি।
৪৭) ঠেসমূল কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর :- সুন্দরবন অঞ্চলের উদ্ভিদের যে মূলটি মাটির গভীরে যায় তাকে ঠেসমূল বলে।
কাজ :- ঠেসমূল গাছকে মাটিতে শক্ত করে আটকে রাখে।
৪৮) শ্বাসমূল কাকে বলে?
উত্তর :- ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের এক ধরনের মূল মাটি থেকে উপরে ওঠে থাকে, এই ধরনের মূলকে শ্বাসমূল বলে।
কাজ :- শ্বাসমূলের সাহায্যে গাছ বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয়।
৪৯) ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- সুন্দরবনের লবণাক্ত মাটিতে যে গাছ জন্মায় তাদের ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ বলে। এই ধরনের উদ্ভিদে শ্বাসমূল এবং ঠেস মূল দেখা যায়।
উদাহরণ :- সুন্দরী, গেঁওয়া, গরান প্রভৃতি।
৫০) সুন্দরবন অঞ্চলে কী কী জীবজন্তু দেখা যায়?
উত্তর :- এখানকার জলে কামট আছে, খুব লম্বা খাঁড়ির কুমির আছে। ডাঙ্গায় মেঠো বিড়াল, বুনোশুয়োর, চিতল হরিণ দেখা যায়। আগে এখানে চিতা বাঘ, জাভান গন্ডার, বুনো মহিষ, বারশিঙ্গা দেখা যেত।
৫১) সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষেরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করে?
উত্তর :- সুন্দরবনের লোকেরা নানারকম কাজ করেন। তাঁরা চাষবাস, মধু সংগ্রহ, মাছ ও মীন ধরা, কাঁকড়া শিকার প্রভৃতি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়া নৌকা তৈরি করা ও চালানোর কাজ করেন।
৫২) নদীতে নেমে কারা মীন সংগ্রহ করেন?
উত্তর :- মেয়েরা।
৫৩) দক্ষিণবঙ্গ বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝায়?
উত্তর :- মুর্শিদাবাদ থেকে দক্ষিণের অংশটিকে দক্ষিণবঙ্গ বলা হয়।
৫৪) দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে উচ্চতম জায়গা কোনটি?
উত্তর :- পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল।
৫৫) পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম লেখো।
অথবা
পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি নিত্যবহ নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা প্রভৃতি।
৫৬) তরাই অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের উত্তর অংশের মাটি স্যাঁতসেঁতে। এই অঞ্চল তরাই অঞ্চল নামে পরিচিত।
৫৭) তরাই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।
উত্তর :-
৫৮) পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- সান্দাকফু (৩৬৩০ মিটার)।
৫৯) মহানন্দা নদীর জন্ম কোথায়?
উত্তর :- দার্জিলিং জেলার ডাওহিলে।
৬০) জলদাপাড়ার বন কীজন্য বিখ্যাত?
উত্তর :- একশৃঙ্গ গন্ডার। তবে এখানে অনেক হাতিও আছে।
৬১) বক্সা - জয়ন্তী পাহাড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- জলপাইগুড়ি জেলায়।
৬২) বক্সার বাঘবন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- জলপাইগুড়ি জেলায়।
৬৩) বক্সা জয়ন্তী পাহাড়ে কোন কোন জীবজন্তু দেখা যায়?
উত্তর :- ভালুক, হাতি, হরিণ, অজগর, বাইসন প্রভৃতি জন্তু এবং নানারকমের পাখি ও প্রজাপতি দেখা যায়।
৬৪) বক্সা দুর্গ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- বাংলাদেশের রংপুরে।
৬৫) গোরুমারা বন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- জলপাইগুড়ি জেলায়।
৬৬) গোরুমারা বনে কী কী জীব জন্তু দেখা যায়?
উত্তর :- একশৃঙ্গ গন্ডার, চিতাবাঘ, ভালুক, হাতি, বাইসন প্রভৃতি।
৬৭) কুলিক পাখিরালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- রায়গঞ্জে কুলিক নদীর পাড়ে।
৬৮) ফজলি আম কোথায় বিখ্যাত?
উত্তর :- মালদা জেলায়।
৬৯) সমুদ্রের জলতল থেকে ভূমির উচ্চতা মাপলে গাঙ্গেয় সমভূমির থেকে নিচু জায়গা কোনটি?
উত্তর :- সুন্দরবন।
৭০) উত্তরবঙ্গের নদীগুলি কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়েছে?
উত্তর :- পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
৭১) পশ্চিমবঙ্গের কোন অঞ্চলে চায়ের চাষ হয়?
উত্তর :- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে।
৭২) পশ্চিমবঙ্গের একটি বিলুপ্ত নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- সূতি।
৭৩) গঙ্গা নদীর যে ধারাটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তার নাম কী?
উত্তর :- পদ্মা।
৭৪) উত্তরবঙ্গের কোথায় একশৃঙ্গ গন্ডার দেখা যায়?
উত্তর :- জলপাইগুড়ির জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে।
৭৫) রাঢ় অঞ্চলের ভূমির বর্ণনা দাও।
উত্তর :- রাঢ় অঞ্চলের সব জায়গায় উর্বর মাটি দেখা যায়। এর বেশিরভাগটা দোঁয়াশ মাটি তবে কিছুটা এটেল মাটি। ভূমি প্রায় পুরোটা সমতল। উত্তর আর পশ্চিম ধার বরাবর ভূমি ক্রমশ উঁচু হয়েছে। সেদিকে মাটি লালচে আর যত পূর্বে আর দক্ষিণে যাওয়া যাবে সাধারণত মেটে রঙের মাটি দেখতে পাওয়া যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন