আদরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির "ভূগোল" বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় " জল - স্থল - বাতাস" অংশটির একাধিক প্রশ্ন ও তার উত্তর। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6th Geography Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল – "জল - স্থল - বাতাস" (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 6 Geography / ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল – পঞ্চম অধ্যায় "জল - স্থল - বাতাস" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6th Geography Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল (পঞ্চম অধ্যায়) "জল - স্থল - বাতাস" প্রশ্ন উত্তর ( সকল প্রশ্নোত্তর একসঙ্গে )/Class 6 geography fifth chapter questions and Answers / ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী পঞ্চম অধ্যায় "জল - স্থল - বাতাস"
বোর্ড :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শ্রেণি :- ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় :- ভূগোল (আমাদের পৃথিবী)
অধ্যায় :- পঞ্চম অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- জল - স্থল - বাতাস।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
১) বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর :- পৃথিবীর গায়ে চাদরের মতো লেগে থাকা বায়ুস্তরই হলো বায়ুমণ্ডল।
২) বায়ুমন্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর :- নাইট্রোজেন।
৩) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে আবহাওয়ার পার্থক্য ঘটে?
উত্তর :- ট্রপোস্ফিয়ারে।
৪) তুমি বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বাস কর?
উত্তর :- ট্রপোস্ফিয়ারে।
৫) ট্রপোস্ফিয়ারে প্রতি এক হাজার মিটার উচ্চতায় উষ্ণতা কত কম হয়?
উত্তর :- ৬.৫° সেলসিয়াস।
৬) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে উচ্চতা বাড়লে তাপমাত্রা কমতে থাকে?
উত্তর :- ট্রপোস্ফিয়ারে।
৭) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি ঘটে?
উত্তর :- ট্রপোস্ফিয়ার।
৮) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জেট প্লেন গুলি চলাচল করে?
উত্তর :- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
৯) বায়ুমন্ডলের কোন স্তর ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে?
উত্তর :- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
১০) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন গ্যাসের স্তর আছে?
উত্তর :- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
১১) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি ঘটে না?
উত্তর :- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
১২) থার্মোস্ফিয়ারে আকাশের রং কী হয়?
উত্তর :- কালো।
১৩) থার্মোস্ফিয়ারে আকাশে রং কালো হয় কেন?
উত্তর :- থার্মোস্ফিয়ারে বাতাস প্রায় নেই। তাই আকাশকে কালো দেখায়।
১৪) থার্মোস্ফিয়ার স্তরের আরেক নাম কী?
উত্তর :- আয়নোস্ফিয়ার।
১৫) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?
উত্তর :- আয়নোস্ফিয়ার।
১৬) বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর কোনটি?
উত্তর :- মেসোস্ফিয়ার।
১৭) বায়ুমন্ডলের উষ্ণতম স্তর কোনটি?
উত্তর :- থার্মোস্ফিয়ার।
১৮) বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং মহাকাশ স্টেশন আছে?
উত্তর :- এক্সোস্ফিয়ার।
১৯) পৃথিবী কত বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর :- ৪৬০ কোটি বছর।
২০) পৃথিবী সৃষ্টির সময় কেমন ছিল?
উত্তর :- সৃষ্টির সময় পৃথিবী ছিল একটা জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড।
২১) পৃথিবীর অভ্যন্তরের কয়টি স্তর ও কী কী?
উত্তর :- পৃথিবীর অভ্যন্তরের তিনটি স্তর। যথা - ভূ-ত্বক, গুরুমন্ডল এবং কেন্দ্রমন্ডল।
২১) ভূ-ত্বক কাকে বলে?
উত্তর :- পৃথিবীর সবথেকে বাইরের পাতলা শক্ত আস্তরণটিকে ভূ-ত্বক বলে।
২২) শিলামন্ডল কাকে বলে?
উত্তর :- ভূত্বকের চারভাগের একভাগ মাত্র স্থল। স্থলভাগ মূলত শিলা আর মাটি দিয়ে তৈরি। তাই একে শিলামন্ডল বলে।
২৩) বারিমন্ডল কাকে বলে?
উত্তর :- পৃথিবীর চারভাগের তিন ভাগ জল। পৃথিবীর এই মোট জলভান্ডারের নাম বারিমণ্ডল।
২৪) পৃথিবীতে প্রথম কোথায় প্রাণের সৃষ্টি বা বিকাশ হয়?
উত্তর :- সমুদ্রের জলে।
২৫) কত বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব হয়েছিল?
উত্তর :- ৩৫০ কোটি বছর আগে।
২৬) পৃথিবীতে মোট জলের কত শতাংশ সমুদ্রে আছে?
উত্তর :- ৯৭ শতাংশ।
২৭) মহাদেশ সঞ্চরণ মতবাদের প্রবক্তা কে?
উত্তর :- আলফ্রেড ওয়েগনার।
২৮) কোন গ্রহে বাতাস না থাকলে সেখানে আকাশের রং কী হবে?
উত্তর :- বাতাসের রং কালো হবে।
২৯) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কোন গ্যাস অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে?
উত্তর :- ওজোন গ্যাস।
৩০) বাতাসে ধুলোর কণায় সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে বিচ্ছুরিত হলে আকাশের রং কী হয়?
উত্তর :- নীল।
৩১) মহাদেশ সঞ্চরণের মূল কারণ কী?
উত্তর :- পরিচালন স্রোত।
৩২) পৃথিবীতে কয়টি মহাদেশ আছে ও কী কী?
উত্তর :- পৃথিবীতে মোট সাতটি মহাদেশ রয়েছে। এগুলি হল - এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ওশিয়ানিয়া এবং আন্টার্কটিকা।
৩৩) পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
উত্তর :- এশিয়া।
৩৪) পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ কোনটি?
উত্তর :- ওশিয়ানিয়া।
৩৫) পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি কোনটি?
উত্তর :- সাহারা মরুভূমি।
৩৬) পৃথিবীর শুষ্কতম শীতল মরুভূমি কোনটি?
উত্তর :- প্যাটাগোনিয়া।
৩৭) ইউরেশিয়া কাকে বলে?
উত্তর :- ইউরোপ এবং এশিয়া এই দুই মহাদেশকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়।
৩৮) পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
উত্তর :- প্রশান্ত মহাসাগর।
৩৯) ইউরোপ ও আফ্রিকার মাঝে কোন মহাসাগর অবস্থিত?
উত্তর :- প্রশান্ত মহাসাগর।
৪০) এশিয়া মহাদেশের প্রধান পর্বত শ্রেণি কোনটি?
উত্তর :- হিমালয়।
৪১) ইউরোপ মহাদেশের প্রধান নদী কোনটি?
উত্তর :- ভলগা, দানিয়ুব।
৪২) পৃথিবীতে মোট কয়টি মহাসাগর আছে ও কী কী?
উত্তর :- পৃথিবীতে মোট পাঁচটি মহাসাগর আছে। এগুলি হল - প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, সুমেরু মহাসাগর ও কুমেরু মহাসাগর।
৪৩) পৃথিবীতে মোট জলভাগের পরিমাণ কত?
উত্তর :- ৭১ শতাংশ।
৪৪) জীবমন্ডল কাকে বলে?
উত্তর :- জল, স্থল, বাতাসে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ১৫ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী নিয়ে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর জীবমন্ডল।
৪৫) দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগের থেকে জলভাগের পরিমাণ কত বেশি?
উত্তর :- প্রায় ১৫ শতাংশ।
নিচের প্রতিটি প্রশ্নের মান ২
১) দিনের বেলা আকাশকে নীল দেখায় কেন?
উত্তর :- আকাশ হল পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুস্তর। দিনের বেলা সূর্যের আলো বায়ুমধ্যস্থ ধূলিকণায় ধাক্কা খেয়ে সাতটি রঙে ভেঙে যায়। এর মধ্যে নীল রং সবথেকে বেশি করে আকাশ জুড়ে বিচ্ছুরিত হয়, তাই আকাশকে নীল দেখায়।
২) বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলি কী কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের উপাদান প্রধানত তিন প্রকার- গ্যাসীয় উপাদান গুলি হল - নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও নিষ্ক্রিয় গ্যাস। তরল বা জলীয় উপাদান হল - জলীয় বাষ্প ও কঠিন উপাদান গুলি হল - ধূলিকণা কার্বনের গুঁড়ো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে নির্গত ছাই।
৩) ওজোনস্তর বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের 20-50 কিমি উচ্চতার মধ্যে গ্যাসের একটি স্তর অবস্থান করছে। এই স্তরকে ওজোনস্তর বলে। এই স্তরটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে জীবকুলকে ক্ষতিকারক প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।
৪) ভূত্বক কাকে বলে?
উত্তর :- পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণকে ভূত্বক বলে। এই ভূত্বক মূলত বিভিন্ন প্রকার উপাদান (শিলা) দ্বারা গঠিত। জীবজগতের আধাররূপে এই স্তরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫) কোন্ গ্রহকে কেন 'নীলগ্রহ' বলা হয়?
উত্তর: পৃথিবীকে 'নীলগ্রহ' বলা হয়। পৃথিবীর চার ভাগের তিনভাগ জল। সৌরজগতের একমাত্র পৃথিবীতে বিশাল পরিমাণে জল পাওয়া যায় বলে মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ঝলমলে নীল গোলকের মতো দেখায়। তাই পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলে।
৬) প্যানজিয়া কাকে বলে?
উত্তর :- প্রায় ২২.৫ কোটি বছর আগে বর্তমানের সমস্ত মহাদেশগুলি একত্রে একটি অখণ্ড স্থলভাগ বা মহাদেশ হিসেবে ছিল। এই অখণ্ড স্থলভাগটিকে বিজ্ঞানীরা '' নামে চিহ্নিত করেন।
৭) প্যানথালাসা বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- প্যানজিয়া বা অখণ্ড মহাদেশের চারদিকে প্রায় ২২.৫ কোটি বছর আগে বিরাট জলভাগ বা মহাসাগর ছিল। বিজ্ঞানীরা এই মহাসাগরের নাম দেন প্যানথালাসা।
৮) জলচক্র কী?
উত্তর :- জল কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি আবার কখনও কঠিন বরফ, তুষাররূপে চক্রাকারে বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল ও জীবমণ্ডলের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আবর্তিত হয়, একে জলচক্র বলে।
নিচের প্রশ্নগুলির মান ৫
৯) বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? এর প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর: যানবাহন ও শিল্প-কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশে পৃথিবীর চারদিকে একটি আবরণ তৈরি করেছে, ফলে পৃথিবীতে তৈরি হওয়া তাপ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারছে না। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এই ঘটনাই বিশ্ব উন্নায়ন নামে পরিচিত। গত এক দশকে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ৩° সে বেড়েছে।
প্রভাব :- বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বেড়ে চলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রবল বন্যা, তীব্র খরা, বিধ্বংসী ঝড়, মরুভূমির প্রসার, তাপ প্রবাহ এমনকি শস্যহানি থেকে দুর্ভিক্ষ বা মহামারি পর্যন্ত হতে পারে।
১০) বায়ুমণ্ডল না থাকলে কী হত?
অথবা
বায়ুমন্ডলের প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর :- বায়ুমণ্ডলের প্রভাব গুলি হল -
i ) বাতাস ছাড়া উদ্ভিদ প্রাণী কেউই বেঁচে থাকতে পারে না। তাই পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুর স্তর না থাকলে অন্যান্য গ্রহের মতোই পৃথিবীও প্রাণহীন হয়ে যেত।
ii ) বায়ুমণ্ডল না থাকলে সূর্যাস্তের পর হঠাৎ ভীষণ ঠান্ডা আর সূর্যোদয়ের পর হঠাৎ প্রবল গরম হয়ে যেত পৃথিবী। বায়ুমণ্ডলের জন্যই পৃথিবীতে জীবন ধারণের অনুকূল তাপমাত্রা বজায় থাকে।
iii ) প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার কোটি ছোটো ছোটো উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। এই উল্কা গুলি বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘষা লেগে ছাই হয়ে যায়। তাই পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হয় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন