আদরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় "মাটি, জল, জীব বৈচিত্র্য" অংশটি। তোমাদের পাঠ্য বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠা থেকে ৬১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অংশের সমস্ত প্রশ্নোত্তর এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের প্রথম সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই প্রথম সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। পঞ্চম শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
West Bengal board of Secondary education class 5 "Amader parivesh" second chapter "Bhouto parivesh" page number 19 to 61 important question and answer.
পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর।
Some important question and Answer for Class v Poribesh subject.
১) কম্পোস্ট কি জাতীয় সার?
উত্তর :- জৈব সার।
২) কোন মাটিতে ধান চাষ ভালো হয়?
উত্তর :- দোঁয়াশ মাটিতে।
৩) বীজধান কাকে বলে?
উত্তর :- প্রথমে ছোটো জায়গায় ধান ছড়াতে হয়। এটা বীজতলা। ঘন হয়ে ছোটো ছোটো চারা গাছ বের হয়। সেই চারা গাছগুলিকে বলে বীজধান।
৪) পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় চা চাষ হয়?
উত্তর :- দার্জিলিং জেলায়।
৫) কী ধরনের জমিতে চা চাষ ভালো হয়?
উত্তর :- পাহাড়ের ঢালু জমিতে।
৬) ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
উত্তর :- কোন জায়গা থেকে মাটি সরে যাওয়াকে বলে ভূমিক্ষয় বলে।
৭) ভূমিক্ষয় আটকানোর জন্য কী করা দরকার?
অথবা
ভূমিক্ষয় প্রতিরোধের উপায় গুলি লেখো।
উত্তর :- ভূমিক্ষয় প্রতিরোধের জন্য গাছ কাটা চলবে না। মাটি ধরে রাখে এমন গাছ লাগাতে হবে। পাহাড়ে পলিথিন, প্লাস্টিকের কাপ ওষুধের মোড়ক এইসব ফেলা যাবে না।
৮) বাঁওড় কী?
উত্তর :- নদীর বাঁকে খানিকটা জায়গা নদী থেকে আলাদা হয়ে বদ্ধজলা হয়ে গেলে তাকে বলে বাঁওড়।
৯) ঝোরা কাকে বলে?
উত্তর :- পাহাড়ে অনেক ছোটো ছোটো ঝরনা আছে। এই ঝরনা গুলিকে বলে ঝোরা।
১০) কোনো কাপড়ে দাগ লেগে গেলে কিসের সাহায্যে সেই দাগ তোলা যায়?
উত্তর :- লেবুর রস।
১১) কাপড়ের গায়ে কোন দাগ থাকলে লেবুর রস দেওয়া হয়। এটি কি ধরনের বিক্রিয়া?
উত্তর :- রাসায়নিক বিক্রিয়া।
১২) দুধে লেবুর রস দিলে ছানা হয়ে যায় - এটি কি ধরনের বিক্রিয়া?
উত্তর :- রাসায়নিক বিক্রিয়া।
১৩) পুকুরের জল শোধন করতে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর :- পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট।
১৪) বৃষ্টির জল কী কাজে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর :- স্নান করতে, নোংরা জামা কাপড় কাঁচার জন্য, গাছের গোড়ায় দেওয়ার জন্য, ঘরের বাসন পরিষ্কার করার জন্য বৃষ্টির জল ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৫) বৃষ্টির জল আমরা কিভাবে ধরে রাখতে পারি?
উত্তর :- বাড়িতে চৌবাচ্চা বানিয়ে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে পারি। এছাড়া বড় ড্রাম, বালতি এসবের মধ্যেও বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায়।
১৬) পশ্চিমবঙ্গের দুটি জলাভূমির নাম লেখো।
উত্তর :- পূর্ব কলকাতার জলাভূমি, পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ, হাওড়ার সাঁতরাগাছি ঝিল, কোচবিহারের রসিক বিল ইত্যাদি।
১৭) কলকাতার ঢাল কোন দিকে?
উত্তর :- পূর্বদিকে।
১৮) কলকাতার আবর্জনা ও নোংরা জল কত সালে পূর্বের বিদ্যাধরী নদীতে পাঠানো শুরু হয়?
উত্তর :- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
১৯) কলকাতায় কত সালে মাছের ঘাট তৈরি হয়?
উত্তর :- ১৮৭২ সালে।
২০) কলকাতায় কত সালে পাকাপাকিভাবে মাছ চাষ শুরু হয়?
উত্তর :- ১৯১৮ সালে।
২১) কলকাতায় কত সালে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু হয়?
উত্তর :- ১৯২৯ সালে।
২২) কোন পশু প্রথম পোষ মেনে ছিল?
উত্তর :- কুকুর।
২৩) কোন পশু সবচেয়ে শেষে পশু এনেছিল?
উত্তর :- ঘোড়া।
২৪) গৌর কী?
উত্তর :- জলদাপাড়ার জঙ্গলে বড়ো বড়ো কালো গোরুর মত এক ধরনের জন্তু আছে, এদের নাম গৌর। অনেকে এদের বলেন ভারতীয় বাইসন।
২৫) দুটি বন্য প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- বাঘ, সিংহ, ভালুক, সাপ ইত্যাদি।
২৬) দুটি পোষা প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- টিয়া পাখি, কুকুর, গোরু, ছাগল ইত্যাদি।
২৭) গন্ধগোকুল দেখতে কেমন?
উত্তর :- গন্ধগোকুল দেখতে অনেকটা হুলো বেড়ালের মতো। রং কালো, মুখটা কুকুরের মতো সরু। লেজটা লম্বা ও লোমস।
২৮) পিঁপড়ে, মশা, আরশোলা - এরা কী ধরনের প্রাণী?
উত্তর :- বন্যপ্রাণী।
২৯) গন্ধগোকুলের আরেক নাম কী?
উত্তর :- ভাম - বেড়াল।
৩০) সাপের গা ভর্তি কী থাকে?
উত্তর :- আঁশ থাকে।
৩১) শুঁয়োপোকা পরবর্তীকালে কিসে পরিণত হয়?
উত্তর :- প্রজাপতি।
৩২) মেরুদন্ডী প্রাণী কাদের বলে?
উত্তর :- যে সকল প্রাণীর মেরুদন্ড আছে তাদের মেরুদন্ডী প্রাণী বলে।
উদাহরণ :- মানুষ, গোরু, মাছ ইত্যাদি।
৩৩) অমেরুদন্ডী প্রাণী কাদের বলে?
উত্তর :- যে সকল প্রাণীর মেরুদণ্ড থাকেনা তাদের অমেরুদন্ডী প্রাণী বলে।
উদাহরণ :- চিংড়ি, প্রজাপতি, শামুক, কেঁচো ইত্যাদি।
৩৪) আকর্ষ কাকে বলে?
উত্তর :- লতা বা বিরুৎ জাতীয় গাছের উপরে ওঠার জন্য পাতা পরিবর্তিত হয়ে যে অঙ্গ সৃষ্টি করে, তাকে আকর্ষ বলে। লাউ, কুমড়ো, মটর প্রভৃতি গাছে আকর্ষ দেখা যায়।
৩৫) আকর্ষের কাজ কী?
উত্তর :- আকর্ষের সাহায্যে লতানো গাছ পাশের শক্ত কিছু ধরে দাঁড়াতে পারে।
৩৬) জমিতে সার ব্যবহার করা হয় কেন?
অথবা
মাটির উর্বরতা শক্তি কিভাবে বাড়ানো যায়?
উত্তর:- সার মাটির উর্বরতা বাড়ায়। সারের মধ্যে বিভিন্ন উপাদান থাকে। তার মধ্যে থেকে গাছ নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম প্রভৃতি উপাদান বেছে নেয়। এর ফলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
৩৭) কোন প্রাণী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বুঝতে পারে?
উত্তর :- পিঁপড়ে।
৩৮) কয়েকটি চেনা প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- পিঁপড়ে, টিকটিকি, কাক ইত্যাদি।
৩৯) কয়েকটি আধ - চেনা প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- মাছ, সাপ, ব্যাঙ, বাদুড়, কাঁকড়া, প্রজাপতি প্রভৃতি।
৪০) দুটি শিকারি মাছের নাম লেখো।
উত্তর :- শোল, শাল, চ্যাং, ল্যাটা ইত্যাদি।
৪১) কোন কোন প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর :- শোল মাছ, শাল মাছ, লাটা মাছ, বোয়াল মাছ, শকুন ইত্যাদি।
৪২) শকুন হারিয়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর :- গোরুদের ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। তাই তাদের মাংসেও বিষ। এই মাংস খাওয়ার ফলে শকুন মারা যায়। এছাড়া জমিতে দেওয়া কীটনাশক থেকে গোরু মারা যায়। এই মাংস খেয়েও শকুন হারিয়ে যাচ্ছে।
৪৩) জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
উত্তর :- আমাদের চারপাশে আমরা যে নানারকম উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখি, সেগুলিকে বলে জীববৈচিত্র্য।
৪৪) কোন মাটির জল ধারণ ক্ষমতা কম?
উত্তর :- বেলে মাটির।
৪৫) কোন মাটিতে বালি ও কাদার ভাগ সমান সমান?
উত্তর :- দোআঁশ মাটিতে।
৪৬) মাটি কয়েকটি স্বাভাবিক উপাদানের উদাহরণ দাও।
অথবা
মাটির কয়েকটি উপকারী উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর :- গোবর, মাছের কাঁটা, পচা পাতার কুচি, ঘাসের টুকরো।
৪৭) মাটির অস্বাভাবিক উপাদান কোনগুলি?
অথবা
মাটির কয়েকটি অপকারি উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর :- পলিথিনের কুচি, অ্যালুমিনিয়ামের কুচি, পেনের রিফিলের টুকরো, পেন্সিলের শিস ইত্যাদি।
৪৮) জলে পাওয়া যায় এমন দুটি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- মাছ ও কুমির।
৪৯) মাটির একটি সজীব জৈব উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর :- কেঁচো।
৫০) তোমার চেনা দুরকমের রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কাপড়ের কোন দাগ তুলতে লেবুর রস দেওয়া হয় এটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া। দুধে লেবুর রস দিলে ছানা তৈরি হয়। এটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
৫১) পুকুরের জল পরিষ্কার রাখতে কী কী নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত?
অথবা
জল দূষণ বন্ধ করতে কী কী করা যেতে পারে?
উত্তর :- পুকুরে গবাদি পশুর স্নান করানো, মলমূত্র পরিত্যাগ করা, বাড়ির আবর্জনা, পলিথিন ইত্যাদি ফেলা ও বাসন মাজা নিষিদ্ধ।
৫২) "কোনো একটি জলাভূমির জল কিছুতেই শুকোয় না।" - এই বক্তব্য থেকে তুমি ওই জলাভূমি সম্বন্ধে কী সিদ্ধান্তে আসতে পারো?
উত্তর :- ওই জলাভূমির তলার কোনো জায়গার সঙ্গে হয়তো মাটির নিচের জলের যোগ আছে। তাই কিছুতেই শুকোয় না।
৫৩) কম গভীর টিউবওয়েলের জল খাওয়া উচিত নয় কেন?
উত্তর :- পুকুরের জল এবং বৃষ্টির জল চুইয়ে মাটির ওপরের স্তরে রয়ে যায়। তাই ওই স্তরের জল দূষিত হতে পারে। তাই কম গভীর টিউবয়েলের জল খাওয়া উচিত নয়।
৫৪) মানুষ বিভিন্ন পশুদের পোষ মানায় কেন?
উত্তর :- পশুদের পোষ মানালে তাদের কাছ থেকে দুধ, মাংস প্রভৃতি খাবার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া চাষের কাজে, যানবাহন হিসেবে তাদের ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫৫) কোন কোন ঔষধি গাছ হারিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর :- সর্পগন্ধা, মেহেন্দি, মুক্তোঝুরি।
৫৬) ভূমিক্ষয়ের কারণ গুলি লেখো।
উত্তর :- গাছ কাটা, অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ, ঝুম চাষ, ধাপ চাষ পদ্ধতিতে কৃষিকাজ প্রভৃতি ভূমিক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন