আদরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" বিষয়ের প্রথম অধ্যায় "পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরতা" অংশটি। তোমাদের পাঠ্য বইয়ের ১ পৃষ্ঠা থেকে ২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অংশের সমস্ত প্রশ্নোত্তর এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের প্রথম সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই প্রথম সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
West Bengal board of Secondary education class 6 parivesh o vigyan first chapter "parivesh o jeev jagater parosparik nirbharota" important question and answer.
ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর।
Some important question and Answer for Class vi Poribesh subject.
১) পাখি বাসা বানানোর উপকরণ কোথা থেকে পায়?
উত্তর :- গাছ থেকে।
২) তন্তু কী?
উত্তর :- সুতোর চেয়েও সরু সরু অংশগুলিকে তন্তু বলে।
৩) সুতো কি থেকে তৈরি হয়?
উত্তর :- তন্তু দিয়ে।
৪) কোন কোন গাছ থেকে আমরা তন্তু পাই?
উত্তর :- পাট এবং কার্পাস।
৫) কোন গাছ থেকে আমরা রজন পাই?
উত্তর :- শাল এবং পাইন।
৬) রজন কী কাজে লাগে?
উত্তর :- রজন কাঠের জিনিস পালিশ করার কাজে লাগে।
৭) গঁদের আঠা কী কাজে লাগে?
উত্তর :- বই বা খাতা বাঁধাই করছ্যতে কাজে লাগে।
৮) কুইনাইন থেকে কী তৈরি হয়?
উত্তর :- কুইনাইন থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরি হয়।
৯) আমরা কোথা থেকে কুইন আইন পাই?
উত্তর :- সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে।
১০) দুটি ঔষধি গাছের নাম লেখো।
উত্তর :- নিম, বাসক, তুলসী ইত্যাদি।
১১) পরাগ মিলন কাকে বলে?
উত্তর :- প্রাণীরা ফুল থেকে যখন খাবার সংগ্রহ করে, সেই সময় তাদের দেহের নানা অংশে ফুলের পরাগরেণু লেগে যায়। এই প্রাণীরা যখন অন্য কোন ফুলে গিয়ে বসে, তখন পরাগরেণু ওই ফুলে এসে পড়ে। এই প্রক্রিয়াটির নাম হল পরাগমিলন।
১২) ফল ও বীজের বিস্তারে সাহায্য করে কোন প্রাণী?
উত্তর :- বনবিড়াল, শেয়াল।
১৩) অ্যাজোলা কী?
উত্তর :- অ্যাজোলা হল এক ধরনের পানা। এদের পাতার মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে যারা বাতাসে নাইট্রোজেনকে বেঁধে ফেলতে পারে।
১৪) মিথোজীবিতা কাকে বলে?
উত্তর :- প্রকৃতিতে এই ধরনের সম্পর্ক, যেখানে দুই বা তার বেশি জীব একে অপরকে সাহায্য করে বেঁচে থাকে সেটাই হল মিথোজীবীতা।
১৫) গরুর সঙ্গে কোন প্রাণীর মিথোজীবীতার সম্পর্ক আছে?
উত্তর :- গো - বক।
১৬) সাগরকুসুমের সঙ্গে কোন প্রাণীর মিথোজীবিতার সম্পর্ক আছে?
উত্তর :- সন্ন্যাসী - কাঁকড়া।
প১৭) হানিডিউ কী?
উত্তর :- জাব পোকারা গাছের শর্করা - সমৃদ্ধ রস শোষণ করে শর্করা - সমৃদ্ধ বর্জ্য ত্যাগ করে। এই বর্জ্যের নাম হানিডিউ।
১৮) আমরা পরিবেশ থেকে কোন গ্যাস গ্রহণ করি?
উত্তর :- অক্সিজেন গ্যাস।
১৯) শ্বাস ছাড়ার সময় আমরা কোন গ্যাস ত্যাগ করি?
উত্তর :- কার্বন ডাই অক্সাইড।
২০) মাংসাশী প্রাণী কাদের বলে?
উত্তর :- যে সমস্ত প্রাণী অন্য প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, তাদের মাংসাশী প্রাণী বলে। যেমন - বাঘ, সিংহ, শিয়াল ইত্যাদি।
২১) তৃণভোজী প্রাণী কাদের বলে?
উত্তর :- যে সকল প্রাণী লতাপাতা, ঘাস, ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের তৃণভোজী প্রাণী বলে। যেমন - গরু ছাগল।
২২) খাদক কাদের বলে?
উত্তর :- যারা অন্য জীবদের বা জীবদেহের কোন অংশ খায় তারাই খাদক।
২৩) খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর :- খাদকরা যাদের খায়, তারাই খাদ্য।
২৪) মানুষের দেহে বসবাস করে এমন দুটি পরজীবী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- ফিতা কৃমি এবং উকুন।
২৫) পরজীবী কাদের বলা হয়?
উত্তর :- যে সকল জীব অন্য কোনো প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকে তাদের পরজীবী বলা হয়।
২৬) পরজীবী উদ্ভিদের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- স্বর্ণলতা।
২৭) মানুষের অন্ত্রে বসবাসকারী একটি পরজীবী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- ফিতাকৃমি।
২৮) উকুন কি খায়?
উত্তর :- রক্ত।
২৯) আমরা কোথা থেকে মধু পাই?
উত্তর :- মৌচাক থেকে।
৩০) আমরা প্রাণীদের কাছ থেকে কী কী খাবার পেয়ে থাকি?
উত্তর :- মধু, ডিম, মাংস, দুধ ইত্যাদি।
৩১) আমরা কোথা থেকে সিল্ক পাই?
উত্তর :- রেশম মথ থেকে।
৩২) মেটে আসলে কী?
উত্তর :- পাঁঠা বা মুরগির যকৃত।
৩৩) ভিটামিন কী?
উত্তর :- ভিটামিন হলো আমাদের খাবারের একটা অত্যন্ত দরকারি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ করে।
৩৪) সামুদ্রিক মাছের যকৃতে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?
উত্তর :- ভিটামিন A এবং ভিটামিন D
৩৫) কোন ভিটামিন আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে?
উত্তর :- ভিটামিন A
৩৬) কোন পাখিকে ঝাড়ুদার পাখি বলে?
উত্তর :- কাক।
৩৭) কাককে ঝাড়ুদার পাখি বলে কেন?
উত্তর :- কাক আমাদের পরিবেশে পড়ে থাকা নোংরা আবর্জনা ও মৃত প্রাণী খেয়ে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখে। তাই কাককে ঝাড়ুদার পাখি বলা হয়।
৩৮) পরিবহনে সাহায্য করে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- গোরু, ঘোড়া, হাতি ইত্যাদি।
৩৯) কোন প্রাণী চাষের কাজে সাহায্য করে?
উত্তর :- বলদ অর্থাৎ গোরু, মোষ।
৪০) দুধ থেকে দই তৈরি করতে কোন অণুজীব সাহায্য করে?
উত্তর :- ল্যাক্টোব্যাসিলাস।
৪১) দুধে যে অ্যাসিড তৈরি হয় তার নাম কী?
উত্তর :- ল্যাকটিক অ্যাসিড।
৪২) পাউরুটি তৈরি করতে কী কী উপাদান দরকার হয়?
উত্তর :- ময়দা বা আটা, জল এবং ইস্ট।
৪৩) ইস্ট কী?
উত্তর :- ইস্ট হলো এক ধরনের এককোশী ছত্রাক।
৪৪) পাউরুটির গায়ে ফুটো থাকে কেন?
উত্তর :- পাউরুটি তৈরির সময় ময়দা বা আটায় থাকা শর্করাকে ইস্ট ভেঙে ফেলে। এর ফলে তৈরি করে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অ্যালকোহল। ময়দা বা আটার মিশ্রণটাকে ফুলেফেঁপে উঠতে সাহায্য করে এই কার্বন ডাই অক্সাইড। পরে ওই মিশ্রণ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে গেলে পাউরুটির গা ফুটো ফুটো হয়ে যায়।
৪৫) ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে এমন একটি ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর :- স্ট্রেপ্টোমাইসেস।
৪৬) দুটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের উদাহরণ দাও।
অথবা
স্ট্রেপ্টোমাইসেস থেকে পাওয়া যায় এমন দুটি ওষুধের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- স্ট্রেপ্টোমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন