আমার আদরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, আজ এই পোস্টে তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হলো পঞ্চম শ্রেণির "আমাদের পরিবেশ" পাঠ্য বইয়ের প্রথম অংশ "মানবদেহ" ( পাঠ্য বইয়ের ১ থেকে ১৮ পাতা পর্যন্ত) অংশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর গুলি সম্পর্কে। এই প্রশ্নোত্তরগুলি করলে এই অধ্যায় থেকে আর কোন প্রশ্নোত্তর তোমাদের করার প্রয়োজন পড়বে না। তোমাদের প্রথম যে সাবমেটিভ পরীক্ষা সেই পরীক্ষায় "মানবদেহ" অংশের সকল প্রশ্ন আশা করি এখান থেকেই আসবে। তাই, আগামী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই তোমরা করবে।
পরবর্তী পোস্টে তোমাদের "আমাদের পরিবেশ" বিষয়ের বাকি প্রশ্নোত্তর গুলি আলোচনা করা হবে।
শ্রেণি :- পঞ্চম শ্রেণি
বিষয় :- আমাদের পরিবেশ
অধ্যায় :- প্রথম অধ্যায় "মানব দেহ"
পৃষ্ঠা নম্বর :- ১ থেকে ১৮ পর্যন্ত।
১) আগে চামড়া কী কাজে ব্যবহার হতো?
উত্তর :- আগে চামড়া ব্যাগ জুতো বেল্ট প্রভৃতি তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো।
২) কোন পশুর চামড়া, খুব?
উত্তর :- গন্ডারের চামড়া খুব পুরু।
৩) আমাদের শরীরের বর্ম কোন অঙ্গটি?
উত্তর :- আমাদের শরীরের বর্ম ত্বক বা চামড়া।
৪) ত্বককে শরীরের বর্ম বলে কেন?
উত্তর :- বর্ম যেমন আঘাত থেকে রক্ষা করে আমাদের ত্বকও তেমনি বাইরের আঘাত ও সূর্যের আলোর অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচায়। এছাড়া ত্বকের নিচে রয়েছে মাংসপেশী, নার্ভ, শিরা ও ধমনি।
৫) মানুষ চামড়ার ব্যবহার কমিয়েছে কেন?
উত্তর :- মানুষ চামড়ার ব্যবহার কমিয়েছে কারণ চামড়া ব্যবহার করার ফলে অনেক পশু মারা পড়তো। এছাড়া চামড়ার বেশি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়। চামড়া কারখানার নোংরা জলে পড়ে জল দূষিত হয়।
৬) শরীরের কোন জায়গার ত্বক খুব পাতলা?
উত্তর :- ঠোঁটের ত্বক খুব পাতলা।
৭) শরীরের কোন জায়গার ত্বক খুব পুরু?
উত্তর :- পায়ের গোড়ালির ত্বক খুব পুরু।
৮) শরীরের কোন জায়গা আগুনে পুড়ে গেলে কী করা দরকার?
উত্তর :- শরীরে কোন জায়গা পুড়ে গেলে সেই জায়গাটি ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। তবে খুব বেশি পুড়ে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার।
৯) কোন জায়গা পুড়ে গেলে ফোসকা পড়ে কেন?
উত্তর :- চামড়ার উপরের স্তরটা গরমে মরে যায়। তখন নিজের স্তর থেকে জল বেরিয়ে আসে। দুই স্তরের মাঝে সেই জলীয় তরল জমা হয় বলে ওই জায়গাটা ফুলে ওঠে। এভাবেই ফোসকা পড়ে।
১০) বয়স বাড়লে চামড়া কুঁচকে যায় কেন?
উত্তর :- বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে চামড়াও বাড়ে। কিন্তু বৃদ্ধ হলে শরীরটা ছোট হতে শুরু করে। কিন্তু চামড়া কমেনা। তাই চামড়া কুঁচকে যায়।
১১) আমাদের চামড়ার রং কালো হয় কেন?
উত্তর :- মেলানিন থাকে বলে।
১২) মেলানিন কী কাজে লাগে?
উত্তর :- মেলানিন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ত্বকের ক্যান্সার আটকায়। তাছাড়া মেলানিনের জন্যই আমাদের চামড়া রং কালো হয়।
১৩) মেলানিন কিভাবে তৈরি হয়?
উত্তর :- শরীরে রোদ লাগলে মেলানিন তৈরি হয়।
১৪) ত্বকে রোদ লাগলে কোন ভিটামিন তৈরি হয়?
উত্তর :- ত্বকে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
১৫) কালো চামড়ার মানুষদের সম্মানের জন্য লড়াই করেছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির নাম লেখো।
উত্তর :- মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা এবং মার্টিন লুথার কিং।
১৬) বয়স বাড়লে চুল সাদা হয়ে যায় কেন?
উত্তর :- বয়স বাড়লে মেলানিন তৈরি কমে যায় তাই চুল সাদা হয়ে যায়।
১৭) কাকাতুয়ার ঝুটি আসলে কী?
উত্তর :- কাকাতুয়ার ঝুটি আসলে চুল।
১৮) গন্ডারের খড়্গ আসলে কী?
উত্তর :- গন্ডারের খড়্গ আসলে জমাট বাঁধা চুল।
১৯) কোন প্রাণীর গা-ভর্তি শক্ত লোম থাকে?
উত্তর :- শজারুর।
২০) আমাদের নখ ফেটে যায় কেন?
উত্তর :- রক্তাল্পতার কারণে আমাদের নখ ফেটে যায়।
২১) নখ পরিষ্কার রাখা দরকার কেন?
উত্তর :- নখ পরিষ্কার রাখা এবং কাঁটা খুব দরকার। নোংরা জমে থাকলেই সেখানে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। নখ পরিষ্কার না থাকলে নখকুনি হতে পারে।
২২) পশুপাখিদের নখ বেশি বাড়ে না কেন?
উত্তর :- পশু পাখিদের নখ বাড়ে না কারণ পশুপাখিরা ঘষে ঘষে নক বাড়তে দেয় না।
২৩) কোন জীবের কতগুলি হাড় আছে তা কী করে জানা যায়?
উত্তর :- জীবের কঙ্কাল দেখে।
২৪) আমাদের তর্জনীতে কটি ভাঁজ হয়?
উত্তর :- আমাদের তর্জনীতে তিনটি ভাঁজ হয়।
২৫) নখের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া কিসের লক্ষণ?
উত্তর :- রক্তাল্পতার লক্ষণ।
২৬) মানুষের ত্বকের কয়টি স্তর?
উত্তর :- দুটি স্তর।
২৭) ত্বকের উপরের স্থানে কী থাকে না?
উত্তর :- ত্বকের উপরের স্তরে রক্ত থাকে না।
২৮) কোন প্রাণীর সারা দেহ আঁশ দিয়ে ঢাকা?
উত্তর :- সাপ, মাছ ইত্যাদি।
২৯) একজন পরিণত মানুষের অস্থি বা হাড়ের সংখ্যা কত?
উত্তর :- ২০৬ টি।
৩০) অস্থি সন্ধি কাকে বলে?
উত্তর :- হাড়ের জোড়কে বলে অস্থিসন্ধি।
৩১) কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- আলনা ও রেডিয়াস।
৩২) কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- হিউমেরাস।
৩৩) মেরুদন্ডের হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- ভার্টিব্রা বা কশেরুকা।
৩৪) কোমর থেকেই হাঁটু পর্যন্ত হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- ফিমার।
৩৫) হাঁটুর নীচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- টিবিয়া ও ফিবুলা।
৩৬) মানবদেহের সবচেয়ে বড়ো হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- ফিমার।
৩৭) মানবদেহের সবচেয়ে ছোট হাড়ের নাম কী?
উত্তর :- স্টেপিস।
৩৮) লিগামেন্ট কাকে বলে?
উত্তর :- যে দড়ির মতো জিনিস দিয়ে হাড় গুলি অস্থিসন্ধিতে লাগানো থাকে, তাকে বলে লিগামেন্ট।
৩৯) যারা জিমন্যাস্টিক করে তাদের অস্থিসন্ধি কেমন হয়?
উত্তর :- নমনীয় হয়।
৪০) অস্থি মজবুত করার জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর :- ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
৪১) কোন খাবার থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পাই?
উত্তর :- দুধ, ডিম এবং ছোট মাছ।
৪২) কোন প্রাণীর মুখের পেশির খুব জোর?
উত্তর :- বাঘের।
৪৩) আমাদের কোন অঙ্গে কোন হাড় নেই?
উত্তর :- চোখ, জিভ ইত্যাদি।
৪৪) জিভের কাজ কী?
উত্তর :- জিভের সাহায্যে কোন খাবার চেটে চেটে খাওয়া যায়। মুখের ভিতর চিবানোর সময় খাবারকে ওলোট-পালোট করে নিতে পারে। খাবার গিলতেও জিভের সাহায্য লাগে। জিভ ছাড়া আমরা কথা বলতে পারি না।
৪৫) হৃদপিন্ডের কাজ কী?
উত্তর :- হৃদপিণ্ড হলো শরীরে রক্ত ছড়িয়ে দেওয়ার পাম্প। হৃদপিণ্ড সারা দেহে রক্ত ছড়িয়ে দেয়।
৪৬) সারা শরীরে রক্ত যাওয়ার দরকার কী?
উত্তর :- রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে অক্সিজেন ও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে যায়।
৪৭) যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলি কী কী?
উত্তর :- প্রথম প্রথম বিকেলে জ্বর আসে। রাতে ঘাম ও শ্বাসকষ্ট হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর টানা কফ উঠতে থাকে খাবারের অরুচি এবং বুকে ব্যথা হয়। অসুখ বাড়লে কাশির সঙ্গে কাঁচা রক্ত ওঠে এবং ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।
৪৮) যক্ষা রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির নাম কী?
উত্তর :- DOTS
৪৯) DOTS - এর পুরো নাম কী?
উত্তর :- Directly-Observed Therapy, Short-course.
৫০) যক্ষা রোগের জীবাণু কত বছর আগে আবিষ্কার হয়েছে?
উত্তর :- ১৩০ বছর আগে।
৫১) যক্ষা রোগ প্রতিরোধী টিকার নাম কী?
উত্তর :- BCG (বিসিজি)।
৫২) BCG - এর পুরো নাম কী?
উত্তর :- Bacille Calmette-Guérin.
৫৩) বাড়িতে কিভাবে ওআরএস প্রস্তুত করা যায়?
উত্তর :- প্রথমে জলটা কুড়ি মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। তারপর এক গ্লাস ফোটানো জলে এক চামচ চিনি ও এক চিমটে নুন দিয়ে বাড়িতে ওআরএস তৈরি করা যায়।
৫৪) কলেরা রোগের লক্ষণ কী?
উত্তর :- কলেরায় পায়খানা হয় চাল ধোয়া জলের মতো। একটু আঁশটে গন্ধ থাকে। কাছে যাওয়া যায় না।
৫৫) দুটি জল বাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর :- কলেরা, আমাশয়।
৫৬) দুটি বায়ুবাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর :- যক্ষা, মাম্পস, জলবসন্ত।
৫৭) স্টেথোস্কোপ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর :- রেনে লিনেক।
৫৮) ORS - এর পুরো নাম কী?
উত্তর :- Oral Rehydration Solution ( ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন)।
৫৯) ORS - তৈরিতে কী কী উপাদান প্রয়োজন?
উত্তর :- ফুটন্ত জল, চিনি এবং নুন।
৬০) স্টেথোস্কোপ কী?
উত্তর :- হৃদপিন্ডের শব্দ শোনার যন্ত্র।
৬১) পেশি জোরালো হবে কী করে?
উত্তর :- মাছ, মাংস, ডিম, মাশরুম, ডাল, সয়াবিন, লেবু প্রভৃতি খেতে হবে। এছাড়া ব্যায়াম করলে পেশি শক্তিশালী হয়।
৬২) পেশির কাজ কী?
উত্তর :- লেখার সময় হাতের বেশি সাহায্য করে, পড়ার জন্য চোখের পেশী কাজ করে। পাখি তার ডানার পেশির সাহায্যে আকাশে উড়ে বেড়ায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন