প্রিয় আমার দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা। Rajesh Sir Tutorial এ তোমাদের স্বাগত জানাই। আজ এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ( মাধ্যমিক ) দশম শ্রেণির প্রথম গল্প লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ 3 নম্বরের প্রশ্নোত্তর। এই প্রশ্ন গুলো একাধিকবার মাধ্যমিক ও বিভিন্ন স্কুলের পরীক্ষায় এসেছে বা আসবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একেবারে স্বতন্ত্র ও মৌলিক। তাই তোমরা যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেতে চাও তারা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি এইভাবেই লিখবে। আমাদের পরবর্তী পোস্টে "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের 5 নম্বরের প্রশ্নোত্তর গুলো দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের WBBSE "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের প্রশ্নোত্তর।
শ্রেণি :- দশম শ্রেণি ( X )
বিষয় :- বাংলা ( Bangla )
গল্পের নাম :- জ্ঞানচক্ষু ( Gyan Chakhu )
লেখিকা :- আশাপূর্ণা দেবী
মূলগ্রন্থ :- কুমকুম।
প্রতিটি প্রশ্নের মান :- 3
১) "যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সেই আহ্লাদ খুঁজে পাই না।" - আহ্লাদ হবার কথা ছিল কেন? আহ্লাদ খুঁজে না পাওয়ার কারণ কী? ১+২ =৩
উত্তর :- প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের আহ্লাদ হবার কথা বলা হয়েছে। তপনের লেখা গল্প প্রথমবার ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে তার আহ্লাদ হবার কথা ছিল।
ছোট মেসোর সহায়তায় তপনের লেখা "প্রথম দিন" গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সকলে মেসোর মহত্ত্বের কথায় বলতে থাকে। সকলে যখন মেসোর সহায়তা আর কারেকশন করার কথা জানতে পারে তখন তপনের গল্প প্রকাশের জন্য প্রাপ্ত যে আহ্লাদ তা ক্রমে ম্লান হতে থাকে।
২) "রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই" - জহুরি কে? কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর :- আলোচ্য অংশটি কথা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের অন্তর্গত।
আলোচ্য গল্পে 'জহুরি' বলতে ছোট মেসো কে বোঝানো হয়েছে।
আলোচ্য অংশটি একটি প্রচলিত প্রবাদ বাক্য। আলোচ্য গল্পে তপনের লেখক মেসোকে দেখে লেখার সুপ্ত বাসনা জেগে ওঠে এবং সে একটি গল্প লিখেও ফেলে। তপনের ছোটমাসি মেসোর দিবানিদ্রা ভাঙ্গিয়ে সেটি দেখাতে যায়। এতে তপনের মৌখিক অসম্মতি থাকলেও অন্তরে সায় ছিল। কারণ একজন লেখক তথা জ্ঞানী ব্যক্তি লেখা সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন। জহুরি যেমন জহর চেনে তেমনি লেখার মর্ম ছোটমেসোই বুঝবে।
৩) "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে" - কার মধ্যে, কেন এই ভাবনার উদয় হয়েছিল? ১+২ =৩
উত্তর :- প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের মধ্যে এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল।
"জ্ঞানচক্ষু" গল্পের নায়ক তপনের জীবনে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত হল তার লেখা গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। কিন্তু তার লেখা পত্রিকায় প্রকাশ পেতে পারে, এটা ছিল তপনের কল্পনার অতীত। তাই মেসোর হাতে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকা দেখে তপনের বুকে রক্ত ছলকে ওঠে। তবে কি সত্যিই আমার গল্প ছাপা হয়েছে! সত্যিই কি এই গল্প হাজার হাজার লোকের হাতে ঘুরবে? এটাকেই তপনের অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছে।
৪) "নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।" - তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর :- প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'কুমকুম' গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পে নতুন লেখক মেসোমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
তপন মনে করত লেখকরা হয়তো বা আকাশ থেকে পড়া কোন ভিনগ্রহী জীব। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তপন লক্ষ্য করে তার 'সাহিত্যিক' মেসোমশাই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই নিছক একজন মানুষ। নিজের মেসোর লেখক পরিচয় পাওয়ার পর তার হাবভাব, আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মিলন ঘটে।
৫) "আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।" - এখানে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? এরূপ মন্তব্যের কারণ কী? ১+২=৩
উত্তর :- আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের অন্তর্গত।
যেদিন তপনের ছোটমেসো তপনের গল্পটি "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিল সেই দিনের কথা এখানে বলা হয়েছে।
তপনের লেখক মেসো তপনের লেখা গল্প ছাপিয়ে দিলেও, সেই গল্প তার মেসো আগাগোড়া কারেকশন করে গল্পটাকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছিলেন। তাই তপন যখন গল্পটা "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকায় পড়ে তখন সে অবাক হয়ে যায়। সে ভাবে এটাতো তার লেখা গল্প নয়, একটি লাইনও তার চেনা নয়। সে বুঝতে পারে যে মেসো নিজেই সেই গল্পটি তার পাকা হাতে লিখেছে। তাই তপনের মনে হয় সেই দিনটা তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। সবাই এই গল্প পড়ে প্রশংসা করলেও তপনের খুব দুঃখ হয়।
** যদি প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।
ধন্যবাদ ❤️ সকলে খুব ভালো ভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যাও।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন