WBCHSE, উচ্চ মাধ্যমিক ( দ্বাদশ শ্রেণির ) বাংলা গল্প ভারতবর্ষ, লেখক : সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।
উচ্চমাধ্যমিকের ( দ্বাদশ শ্রেণির ) সকল ছাত্র-ছাত্রীকে Rajesh Sir Tutorial এর পক্ষ থেকে জানাই আগামী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আজ এখানে বাংলা গল্প সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত "ভারতবর্ষ" থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা এই প্রশ্নগুলি অবশ্যই অনুশীলন করবে। আশা করি এই প্রশ্নগুলি তোমাদের খুব কাজে লাগবে।
ভারতবর্ষ (গল্প) সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bharatbarsha Question and Answer : ভারতবর্ষ (গল্প) সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bharatbarsha Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Bharatbarsha Question and Answer, Suggestion, Notes – ভারতবর্ষ (গল্প) সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Twelve XII Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
বাংলা গল্প : ভারতবর্ষ
লেখক : সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১) পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে সেখানেই গড়ে উঠেছে -
(ক ) একটি মিষ্টির দোকান
(খ ) একটি শনি মন্দির
(গ ) একটি ছোট্ট বাজার
(ঘ ) একটি চায়ের দোকান।
উত্তর : (গ ) একটি ছোট্ট বাজার।
২) ভারত বর্ষ গল্পে বর্ণিত গ্রামটি ঢাকা -
(ক ) বাঁশ বনে
(খ ) গাছপালায়
(গ ) কুয়াশায়
(ঘ ) ঝাউ গাছে ।
উত্তর : (ক ) বাঁশ বনে।
৩ ) বাজারে মুদির দোকান ছিল -
(ক ) একটি
(খ ) দুটি
(গ ) তিনটি
(ঘ ) চারটি ।
উত্তর : (খ ) দুটি ।
৪ ) 'ভারতবর্ষ' গল্পটি রচিত যে প্রেক্ষাপটে তা হল -
(ক) রাঢ় বাংলা
(খ) পার্বত্য বাংলা
(গ) গ্রাম বাংলা
(ঘ) শহরাঞ্চল।
উত্তর : (ক) রাঢ় বাংলা।
৫) 'রাঢ় বাংলা' বলতে বোঝায় -
(ক) গঙ্গার পূর্ববর্তী অঞ্চল
(খ) গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল
(গ) দামোদরের দক্ষিণ অঞ্চল
(ঘ) অজয় নদের অঞ্চল।
উত্তর : (খ) গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল ।
৬) “হালকা বৃষ্টি শুরু হল।”—সময়টা -
(ক) শরৎকাল
(খ) হেমন্তকাল
(গ) শীতকাল
(ঘ) বসন্তকাল।
উত্তর : (গ) শীতকাল।
৭) “বৃষ্টিতে তা হল ধারালো।” —কী ধারালো হল ?
(ক) লোকের মেজাজ
(খ) রাঢ় বাংলার শীত
(গ) হাওয়ার বেগ
(ঘ) নদীর স্রোত।
উত্তর : (খ) রাঢ় বাংলার শীত।
৮) রাঢ় বাংলায় শীতকালে বৃষ্টি হলে ভদ্রলোকেরা তাকে বলে -
(ক) পউষে বাদলা
(খ) ডাওর
(গ) ফাঁপি
(ঘ) কালবৈশাখী।
উত্তর : (ক) পউষে বাদলা।
৯) রাঢ় বাংলাতে শীতকালে হালকা বৃষ্টি শুরু হলে ছোটোলোকরা বলে -
(ক) বাওড়
(খ) সাঙর
(গ) ডাওর
(ঘ) কালবৈশাখী।
উত্তর : (গ) ডাওর।
১০) চাষাভুসো লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?
(ক) ঠান্ডার জন্য
(খ) বৃষ্টির জন্য
(গ) অকাল - দুর্যোগের জন্য
(ঘ) হাওয়ার জন্য।
উত্তর : (গ) অকাল - দুর্যোগের জন্য ।
১১) বুড়ির মুখে কিসের চিহ্ন ছিল?
(ক) দুশ্চিন্তার
(খ) দারিদ্র্যের
(গ) ক্রোধের
(ঘ) সুদীর্ঘ আয়ুর।
উত্তর : (ঘ) সুদীর্ঘ আয়ুর।
১২) চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে - দিতে প্রতীক্ষা করছিল -
(ক) গরম চায়ের
(খ) রোদ ঝলমলে একটা দিনের
(গ) নীল উর্দি পরা চৌকিদারের
(ঘ) শহরে যাওয়া বাসের।
উত্তর : (খ) রোদ ঝলমলে একটা দিনের।
১৩) থুত্থুরে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানো ছিল -
(ক) তুলোর কম্বল
(খ) নোংরা চাদর
(গ) দামি শাল
(ঘ) ছেঁড়া কাপড়।
উত্তর : (ক) তুলোর কম্বল ।
১৪) পউষে বাদলা সম্পর্ক ডাকপুরুষের পুরোনো বচন অনুযায়ী শনিবারে বাদলা শুরু হলে তার স্থায়িত্ব থাকবে -
(ক) তিনদিন
(খ) পাঁচদিন
(গ) চারদিন
(ঘ) সাতদিন
উত্তর : (ঘ) সাতদিন।
১৫) মঙ্গলে বাদলা লাগলে তা থাকবে -
(ক) পাঁচদিন
(খ) চারদিন
(গ) তিনদিন
(ঘ) সাতদিন।
উত্তর : (ক) পাঁচদিন।
১৬) ডাকের বচন অনুযায়ী বুধে বাদলা লাগলে তার স্থায়িত্ব থাকে -
(ক) চারদিন
(খ) ছয়দিন
(গ) তিনদিন
(ঘ) পাঁচদিন।
উত্তর : (গ) তিনদিন।
১৭) ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে থানা ছিল -
(ক) চার ক্রোশ দূরে
(খ) এক ক্রোশ দূরে
(গ) আট ক্রোশ দূরে
(ঘ) পাঁচ ক্রোশ দূরে।
উত্তর : (ঘ) পাঁচ ক্রোশ দূরে।
১৮) ''সবাই আবিষ্কার করল'' –সবাই কী আবিষ্কার করল ?
(ক) বটতলায় বুড়ির নিঃসাড় দেহ
(খ) কম্বলের ভিতর ন্যাকড়ায় বাঁধা পয়সা
(গ) বুড়িটি হিন্দু না মুসলিম
(ঘ) বুড়ির লাঠি।
উত্তর : (ক) বটতলায় বুড়ির নিঃসাড় দেহ।
১৯) পিচ রাস্তার বাঁকে গড়ে ওঠা ছোট বাজারটার পিছনে কী আছে ?
(ক) নদী।
(খ) খাল
(গ) মন্দির
(ঘ) গ্রাম।
উত্তর : (গ) মন্দির।
২০) মাঝে মাঝে সভ্যতার কী মুখ চোখে পড়ে ?
(ক) উজ্জ্বল।
(খ) মলিন।
(গ) বিমর্ষ।
(ঘ) নম্র।
উত্তর : (গ) বিমর্ষ।
২১) যুবক বা যুবতির পরনে যা পোশাক তা কোথাকার কারখানায় তৈরি ?
(ক) আমেদাবাদের।
(খ) মুম্বাইয়ের।
(গ) কাঞ্জিভরমের
(ঘ) গোয়ালিয়রের।
উত্তর : (ক) আমেদাবাদের।
২২) ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের ঘটনার সময়টি ছিল—
(ক) বসন্তের।
(খ) গরমের।
(গ) শরতের।
(ঘ) শীতের।
উত্তর : (ঘ) শীতের।
২৩) কেউ কেউ বলেছিল, বটতলায় না গিয়ে বুড়িটার যাওয়া উচিত ছিল—
(ক) বাড়িতে।
(খ) প্রাসাদে।
(গ) বারোয়ারিতলায়।
(ঘ) ক্লাবে।
উত্তর : (গ) বারোয়ারিতলায়।
২৪) মাঝে মাঝে ট্রাক দূরের কোথায় চলে যায় ?
(ক) গঞ্জে।
(খ) আড়তে।
(গ) কারখানায়।
(ঘ) শহরে।
উত্তর : (ঘ) শহরে।
২৫) ক্ষিপ্ত মেজাজে কথায় কথায় কী বাধে?
(ক) তর্ক।
(খ) চ্যাঁচামেচি।
(গ) কথা কাটাকাটি।
(ঘ) মারামারি।
উত্তর : (ক) তর্ক।
২৬) সভ্যতার ছোট্ট উনানটা কী ?
(ক) চন্ডী মন্ডপ।
(খ) গঞ্জ।
(গ) বাজার।
(ঘ) হাট।
উত্তর : (গ) বাজার।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান : ১
১) "ভারতবর্ষ" গল্পটি কার লেখা?
উত্তর :- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।
২) কাঁচা রাস্তার ধারে সবুজ ঝোপের ফাঁকে কারা এগিয়ে আসে?
উত্তর :- কোন এক যুবক বা যুবতী।
৩) যুবক - যুবতীদের পোশাক কেমন ছিল?
উত্তর :- আমেদাবাদের কারখানার তৈরি পোশাক।
৪) রাত ন'টার পর বাজারের ছবিটি কেমন হয়?
উত্তর :- বাজার একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। শুধু আলো জ্বলে। পিচ রাস্তায় নেড়ি কুকুরের ছায়া ঘোরে। মাঝে মাঝে ট্রাক চলে যায় শহরের দিকে।
৫) পৌষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাক পুরুষের পুরানো বচনটি কি?
উত্তর :- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন, বাকি সব দিন দিন।
৬) অকাল দুর্যোগে কিসের ক্ষতি হয়?
উত্তর :- ধানের।
৭) "ভারত বর্ষ" গল্পে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :- ভারত বর্ষ গল্পে পৌষ মাস অর্থাৎ শীতকালের কথা বলা হয়েছে।
৮) "বাদলা" সম্পর্কে গ্রামের ডাক পুরুষের পুরানো বচনটি কি ছিল?
উত্তর :- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ বুধে তিন, বাকি সব দিন দিন।
৯) রাঢ়বাংলায় শীত কি ধরনের?
উত্তর :- খুব জাঁকালো।
১০) অকাল দুর্যোগে কোন ফসলের ক্ষতি হয়?
উত্তর :- ধানের।
১১) বুড়ির মরাটা তারা তুলে নিয়ে এসেছিল?
উত্তর :- মুসলমান পাড়ার লোকেরা।
১২) মোল্লা সাহেব কি শুনতে পেয়েছিল?
উত্তর :- বুড়ি কলমা পড়ছে সেটাই শুনতে পেয়েছিল।
১৩) ভট্টাচার্য মশাই কি শুনেছিল?
উত্তর :-বুড়িকে শ্রী হরি জপ করতে।
১৪) করিম ফরাজী একসময় কি ছিল?
উত্তর :- একজন পেশাদার লাঠিয়াল।
১৫) বাজারে মোট কটি চায়ের দোকান ছিল?
উত্তর :- তিনটি।
১৬) বাজারের উত্তর দিকে কি ছিল?
উত্তর :- একটি মাঠ।
১৭) বাজারে কটা পর্যন্ত জমাটি ভাব থাকে?
উত্তর :- রাত্রি নটা পর্যন্ত।
১৮) ভারত বর্ষ গল্পে কোন দিন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল?
উত্তর :- মঙ্গলবার।
১৯) চায়ের দোকানের লোকেরা বুড়িকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছিল?
উত্তর :- টাট্টু ঘোড়া।
২০) চৌকিদার সাহেবের পোশাকে রং কি ছিল?
উত্তর :- নীল রঙের।
২১) শীতকালে বৃষ্টি হলে এবং তার সঙ্গে জোরে বাতাস বইলে, তাকে কি বলে?
উত্তর :- ফাঁপি।
২২) সভ্যতার ছোট উনান কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর :- বাজারটি।
২৩) মাঝে মাঝে ট্রাক দূরে কোথায় চলে যায়?
উত্তর :- শহরে।
২৪) বাজারটির পিছনে কি আছে?
উত্তর :- গ্রাম।
২৫) চাষা- ভুষো মানুষ বৃষ্টি না হলে কাকে গালমন্দ করে?
উত্তর :- আল্লা - ভগবানকে।
২৬) বুড়ির দেহটা কেমন ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?
উত্তর :- বাঁশের চ্যাং দোলায় দুলিয়ে।
২৭) ভোরের নামাজ কে কি বলা হয়?
উত্তর :- ফজরের নামাজ।
২৮) মাঠ থেকে নদীর দূরত্ব কত ছিল?
উত্তর :- দুই মাইল।
২৯) ভারতবর্ষ গল্পে কোন নাপিতের কথা আছে?
উত্তর :- নকড়ি নাপিত।
৩০) হাস্কিং মেশিনের পিছনে কি আছে?
উত্তর :- ইট ভাটা।
৩১) গ্রাম থেকে থানার দূরত্ব কত ছিল?
উত্তর :- পাঁচ ক্রোশ।
৩২) "বাজারে বিদ্যুৎ আছে ।" - বাজারে কি কি আছে তার বর্ণনা দাও।
উত্তর :- বাজারে বিদ্যুৎ ছিল আর দুটি সন্দেশের, তিনটি চায়ের, তিনটি পোশাকের, একটা মনোহারীর ও দুটি মুদির দোকান ছিল। এছাড়া একটা আড়ত ও একটা হাস্কিং মেশিনও সেখানে ছিল।
৩৩) ডাওর কাকে বলে?
উত্তর :- রাঢ় বাংলায় শীতের জাঁকালো ঠান্ডার মধ্যে যে হালকা বৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয়ভাবে ছোটলোকেরা 'ডাওর' বলে।
৩৪) পউষে বাদলা কি?
উত্তর :- রাঢ় বাংলায় শীতের জাঁকালো ঠান্ডা কে আরো ধারালো করতে যে হালকা বৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভদ্রলোকেরা 'পউষে বাদলা' বলে।
৩৫) "সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।" - কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল?
উত্তর :- প্রচন্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টির আবহাওয়াতে এক থুরথুরে বুড়ি কিভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসতে পারলো, সেটা ভেবেই চায়ের দোকানের সবাই অবাক হয়েছিল।
৩৬) "বুড়ি খেপে গেল।" - কোন কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল?
উত্তর :- চায়ের দোকানে উপস্থিত লোকেরা বুড়িকে নিয়ে মশকরা করলে, তাদের ওই ঠাট্টা তামাশা পূর্ণ কথায় বুড়ি খেপে যায়।
৩৭) পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাক পুরুষের পুরনো বচনে কি বলা আছে?
উত্তর :- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন - বাকি সব দিন দিন।
৩৮) "আর সবাই আবিষ্কার করল" - সবাই কি আবিষ্কার করল?
উত্তর :- "ভারতবর্ষ" গল্পে একটানা বৃষ্টি হওয়ার পর বৃষ্টি থামলে গ্রামবাসীরা আবিষ্কার করে বৃদ্ধা ভিখারিটি যে বটগাছের খোঁদলের পিঠ ঠেকিয়ে বসেছিল সেখানেই চিৎ হয়ে নিঃসাড় অবস্থায় পড়ে আছে।
৩৯) "বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।" - বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মেনে বুড়ির শবদেহকে কি করা হয়েছিল?
উত্তর :- চৌকিদার বুড়ির মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তাই গ্রামবাসীরা প্রায় দুই মাইল দূরে নদীর শুকনো চড়ায় বৃদ্ধার দেহটা ফেলে দিয়ে আসে।
৪০) "তখন বুড়িকে স্পষ্ট বলতে শুনেছি" - বুড়িকে স্পষ্টভাবে কে, কি বলতে শুনেছিল?
উত্তর :- নকড়ি নাপিত বটতলায় কামাতে বসে ভিখিরি বৃদ্ধাকে স্পষ্ট ভাবে 'হরিবোল, হরিবোল' বলতে শুনেছে।
৪১) "আমি স্বকর্ণে শুনেছি" - কে কি শুনেছে?
উত্তর :- ভারতবর্ষ গল্পে ফজলু শেখ বৃদ্ধা ভিখিরিকে স্পষ্টভাবে 'লাইলাহা ইল্লাল্ল' বলতে শুনেছিলেন।
৪২) "বচসা বেড়ে গেল।" - এই বচসার কারণ কি?
উত্তর :- বুড়ির মৃতদেহ কিভাবে সৎকার করা হবে, তাই নিয়ে গ্রামের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বচসা বেড়ে যায়।
৪৩) "লাইলাহা ইল্লাল্ল" কথার অর্থ কি?
উত্তর :- 'লা ইলাহা ইল্লাল্ল' কথার অর্থ - আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কোন উপাস্য নেই।
৪৪) বুড়ির গায়ে এবং পরনে কি ছিল?
উত্তর :- বুড়ির পরনে একটা কাপড়, গায়ে জড়ানো তুলোর কম্বল। দুটোই ছিল নোংরা এবং তেল চিটচিটে।
৪৫) "তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য।" - কোন দৃশ্যের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :- বুড়ির মৃতদেহটি নিয়ে গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যখন বচসা বেড়ে গেছে সেই সময় হঠাৎ দেখা যায় মৃতদেহটি নড়ছে এবং নড়তে নড়তে উঠে বসার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাকেই অদ্ভুত দৃশ্য বলা হয়েছে।
৪৬) "বুড়ি হিন্দু না মুসলমান" - এই প্রশ্ন বুড়িকে জিজ্ঞাসা করায় সে কি উত্তর দিয়েছিল?
উত্তর :- বুড়ি হিন্দু না মুসলমান - এই প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি বলেছিল যে - "আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে?"
৪৭) "অর্থাৎ সে বৃক্ষ বাসিনী।" - কাকে বৃক্ষ বাসিনী বলা হয়েছে এবং কেন?
উত্তর :- বুড়িটি বট গাছের গুঁড়ির খোঁদলে যেভাবে পিঠ ঠেকিয়ে বসে ছিল ,তাই দেখে বুড়িটিকে বৃক্ষ বাসিনী বলে মনে করা হয়েছে।
৪৮)" তাই ধারের অংক বেড়ে চলে।" - ধারের অংক বেড়ে চলার কারণ কি?
উত্তর :- গ্রামের চাষাভুসো মানুষ অলস সময় কাটাতে ও একঘেয়েমি দূর করতে চায়ের দোকানে আড্ডায় ভিড়ে যায়। আড্ডায় জোর কথা কাটাকাটি হয়। আর চা-ওয়ালার ধারে চা বিক্রি হয়। ক্রমশ ধারের অংক বাড়তে থাকে।
৪৯)" তারপর সব ফাঁকা।" - কখন সব ফাঁকা হয়ে যায়?
উত্তর :- "ভারত বর্ষ" গল্পে বর্ণিত ছোট্ট বাজারের চারপাশে গ্রাম। গ্রাম থেকে লোক আসে ও রাত নটা অবধি বাজার জমজমাট থাকে। তারপর সব লোক গ্রামে ফিরে গেলে বাজার হয় ফাঁকা।
৫০) "কেউ কেউ বুড়ির কপাল ছুঁয়ে দেখলো।" - বুড়ির কপাল ছুঁয়ে য়ে কি দেখলো?
উত্তর :- বুড়ি বটগাছের তলায় চিৎ হয়ে নিঃসাড় পড়ে আছে দেখে বুড়ি সত্যিই মরে গেছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য কেউ কেউ বুড়ির কপাল ছুঁয়ে দেখল প্রচন্ড ঠান্ডা, যার অর্থ বুড়ি মৃত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন