বিষয় :- জীবন বিজ্ঞান
প্রথম অধ্যায় :- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
পর্ব :- প্রাণীদের সাড়া-প্রদান ও ভৌত সমন্বয় ( স্নায়ুতন্ত্র ও প্রাণীদের গমন )।
দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ( প্রথম অধ্যায় ) এর প্রাণীদের সাড়া প্রদান ও ভৌত সমন্বয় ( স্নায়ুতন্ত্র ও প্রাণীদের গমন ) অংশের সাজেশন – WBBSE Class 10th Life Science Suggestion : জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ( প্রথম অধ্যায় ) দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।
RAJESH SIR TUTORIAL এর পক্ষ থেকে সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মাধ্যমিক পরীক্ষা তোমাদের খুব ভালো হোক এই কামনা করি।
এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষায় বা দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষায় ( WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Board Class 10th Life Science Question and Answer ) তোমরা যারা আগামী দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান | WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Life Science Question and Answer খুঁজে চলেছো তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারো।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ অথবা ৩
স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে? স্নায়ুতন্ত্রের কাজ লিখ।
স্নায়ুতন্ত্র : স্নায়ু কোষ ও নিউরোগ্লিয়া দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণীদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধনায হয়, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
স্নায়ুতন্ত্রের কাজ :
1) প্রাণীদেহের বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
2) দেহের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা গ্রহণ করা।
3) উদ্দীপনায় সারা দিয়ে নিজ নিজ পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করা।
4) দেহস্থ বিভিন্ন বেশি সংকোচনে এবং বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণে সাহায্য করা।
স্নায়ুকোশ বা নিউরোন কাকে বলে? নিউরোনের গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
স্নায়ু কোশ বা নিউরোন : কোশদেহ ও সকল প্রকার প্রবর্ধক নিয়ে গঠিত স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক যা স্নায়ুস্পন্দন পরিবহন করে, তাকে নিউরোন বা স্নায়ু কোশ বলে।
নিউরোনের গঠন :
নিউরোন প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত -
A) কোশদেহ বা সেল বডি এবং B) প্রবর্ধক বা প্রসেস।
A )কোশ দেহ : কোশদেহের অংশগুলি হল - i) কোশঝিল্লি, ii) নিউরোপ্লাজম, iii) নিউক্লিয়াস, iv) কোশ অঙ্গাণু, v) নিজল দানা, vi) নিউরোফাইব্রিল।
B) প্রবর্ধক : প্রবর্তক দু ধরনের -
i) ক্ষুদ্র প্রবর্ধক বা ডেনড্রন এবং
ii )দীর্ঘ প্রবর্ধক বা অ্যাক্সন।
নিউরোনের প্রধান কাজ কি?
নিউরোনের প্রধান কাজ হল স্নায়বিক উদ্দীপনা পরিবহন করা।
নিউরোন কয় প্রকার ও কি কি?
কাজ অনুসারে নিউরোন তিন প্রকারের হয়। যথা -
A) সংজ্ঞাবহ বা সেনসরি নিউরোন
B) আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরোন
C) সহযোগী বা অ্যাডজাস্টর নিউরোন।
স্নায়ু কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?
স্নায়ু : যোগ গলার আবরণী বেষ্টিত, রক্তবাহ ও ফ্যাটকোশ যুক্ত স্নায়ুতন্ত্রগুচ্ছ কে স্নায়ু বা নার্ভ বলে।
* কার্য অনুসারে স্নায়ু তিন প্রকারের -
i) বহির্বাহী স্নায়ু : অকিউলোমোটর স্নায়ু, স্পাইনাল এক্সেসরি স্নায়ু
ii) অন্তর্বাহি স্নায়ু : অলফ্যাক্টরি স্নায়ু, অপটিক স্নায়ু, অডিটরি স্নায়ু।
iii) মিশ্র স্নায়ু : ভেগাস স্নায়ু, ফেসিয়াল স্নায়ু, গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল নার্ভ।
সাইন্যাপস কাকে বলে? এর কাজ লিখ।
সাইন্যাপস : প্রোটোপ্লাজমীয় সংযোগ বিহীন দুটি নিউরোনের যে সংযোগস্থলে যেখানে একটি নিউরোনের শেষ হয় এবং অপর একটি নিউরোনের শুরু হয় তাকে সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি বলে।
সাইন্যাপস এর কাজ : i) সাইন্যাপস উদ্দীপনাকে একমুখী পরিবহনে সাহায্য করে। ii) স্পন্দনকে এক নিউরোন থেকে অন্য নিউরোনে বাহিত করে।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?
প্রতিবর্ত ক্রিয়া : প্রাণীদেহের নির্দিষ্ট উদ্দীপনার প্রভাবে ( সংঞ্জাবহ উদ্দীপনা ) যে স্বতঃস্ফূর্ত, তাৎক্ষণিক ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
যেমন - চোখে তীব্র আলো পড়লে তারারন্ধ সংকুচিত হয়।
* রুশ বিজ্ঞানী আইভ্যান পেভলভ প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা - জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
প্রতিবর্ত পথ কাকে বলে এর উপাদান গুলি কি কি?
প্রতিবর্ত পথ : যে পথে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ু স্পন্দন আবর্তিত হয়, তাকে প্রতিবর্ত পথ বা রিফ্লেক্স আর্ক বলে।
প্রতিবর্ত পথের উপাদান হলো - i) গ্রাহক বা রিসেপ্টর, ii) সংজ্ঞাবহ বা সেনসরি নিউরোন, iii) স্নায়ু কেন্দ্র, iv) আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরোন, v) কারক বা ইফেক্টর।
উপযোজন কাকে বলে? প্রাত্যহিক জীবনে উপযোজন এর ভূমিকা কি?
উপযোজন : স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে উপযোজন বা অ্যাকোমোডেশন বলে।
*প্রাত্যহিক জীবনে উপযোজনের ভূমিকা :
রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাফিক সিগন্যাল বা পথনির্দেশ সঠিকভাবে দেখার জন্য সঠিক সময়ে লেন্সের উপযোজন না ঘটলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় না।
পথচারীরা রাস্তা পারাপারের সময় লেন্সের উপযোজন সঠিকভাবে না হলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মায়োপিয়া কাকে বলে? কিভাবে এই ত্রুটি দূর করা যায়?
মায়োপিয়া : যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে মায়োপিয়া বলে।
* অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর করা যায়।
হাইপার মেট্রোপিয়া কি? কিভাবে এই ত্রুটি দূর করা যায়?
হাইপার মেট্রোপিয়া: যে দৃষ্টিতে নিকটের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে হাইপার মেট্রোপিয়া বলে।
* উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর করা যায়।
প্রেস বায়োপিয়া কাকে বলে? কিভাবে এই ত্রুটি দূর করা যায়?
প্রেস বায়োপিয়া :এই ধরনের ত্রুটি সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের দেখা যায়। লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাছের বস্তু স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাই না।
* বাইফোকাল বা প্রগ্রেসিভ লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর করা যায়।
ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি পড়া কি?
ক্যাটারাক্ট : বেশি বয়স্ক লোকদের লেন্স সম্পূর্ণভাবে অস্বচ্ছ হয়ে ওঠে ফলে সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। একে ছানি বা ক্যাটারাক্ট বলে।
* সার্জারি করে আক্রান্ত লেন্সটিকে চোখ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর হাই পাওয়ারের উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। অধুনা একটি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক লেন্স আইরিসের পিছনে আটকে দেওয়া হয়।
গমন কাকে বলে?
গমন : যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপনার প্রভাবে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর গমন অঙ্গের নাম লিখো।
ক্ষনপদ বা সিউডোপেডিয়ার সাহায্যে অ্যামিবয়েড গমন : - অ্যামিবার মধ্যে দেখা যায়
সিলিয়ার সাহায্যে সিলিয়ারি গমন :- প্যারামেসিয়ামের মধ্যে দেখা যায়।
ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ইউগ্লিনার গমন :- ইউগ্লিনা নামক এককোশী জীবে দেখা যায়।
মাছের সন্তরণ :- সাতটি পাখনা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
পাখির উড্ডয়ন :- পাখির ডানা পালক ও উড্ডয়ন পেশী সাহায্য করে
মানুষের গমন :- মানুষের দুটি পা, হাত, অস্থি, অস্থি সন্ধি, অস্থি সংলগ্ন পেশী সাহায্য করে।
মানুষের গমনকে দ্বিপদ গমন বলে।
মানুষের গমনে সাহায্যকারী দুটি কঙ্কাল পেশির নাম লেখো।
বাইসেপস ফিমোরিস, গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস, সোলিয়াস ও সেমিমেমব্রেনোসাস।
দ্বিপদ গমনে সাহায্যকারী কয়েকটি অস্থির নাম লিখো।
i) ফিমার, ii) টিবিয়া ও ফিবিউলা, iii ) টারসাল, ম্যাটাটারসাল ও ফ্যালানজেস।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন