দশম শ্রেণি
বিষয় :- জীবন বিজ্ঞান
প্রথম অধ্যায় :- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
পর্ব :- হরমোন ( উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোন তাদের উৎস ও ভূমিকা )
দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ( প্রথম অধ্যায় ) এর হরমোন ( উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোন ) অংশের সাজেশন – WBBSE Class 10th Life Science Suggestion : জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ( প্রথম অধ্যায় ) দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।
RAJESH SIR TUTORIAL এর পক্ষ থেকে সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মাধ্যমিক পরীক্ষা তোমাদের খুব ভালো হোক এই কামনা করি।
এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষায় বা দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষায় ( WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Board Class 10th Life Science Question and Answer ) তোমরা যারা আগামী দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান | WBBSE Class 10th Life Science Suggestion | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Life Science Question and Answer খুঁজে চলেছো তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারো।
হরমোন : যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ বিশেষ কোশ সমষ্টি বা অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে দেহ তরলের মাধ্যমে বা ব্যাপন ক্রিয়ায় উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে কোষের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধংসপ্রাপ্ত হয় তাকে হরমোন বলে।
* বিজ্ঞানী বেলিস এবং স্টারর্লিং ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে "হরমোন" নামকরণ করেন।
* হরমোন শব্দটির গ্রিক শব্দ "হরমাও" থেকে উৎপত্তি, যার অর্থ জাগ্রত করা বা উত্তেজিত করা।
হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়সাধক বলে কেন?
উত্তর:- হরমোন উৎপত্তিস্থল থেকে রক্ত, লসিকা বা কলারসের মাধ্যমে বাহিত হয়ে অন্য অঙ্গের কলাকোশের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। তাই হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়সাধক বলে।
উদ্ভিদ হরমোন কয় প্রকার ও কি কি?
উদ্ভিদ হরমোনের প্রকারভেদ :
উদ্ভিদ হরমোন কে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় - A) অক্সিন,B) জিব্বেরেলিন এবং C) সাইটোকাইনিন।
অক্সিন হরমোনের উৎস ও ভূমিকা লিখো।
অক্সিন : অক্সিনের রাসায়নিক নাম - ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড ( IAA )
উৎস : অক্সিন এর মূল উৎস হল কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগ ভ্রুন মুকুলাবরণী বর্ধনশীল পাতার কোশ এবং ফল।
প্রকারভেদ : 1 ) প্রাকৃতিক অক্সিন : IAA, IBA ( ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড
2 ) কৃত্রিম অক্সিন : IPA ( ইন্ডোল প্রোপিয়নিক অ্যাসিড ), NAA ( ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড )।
অক্সিন এর ভূমিকা :
1) অগ্রস্থ প্রকটতা : অক্সিন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় এবং পার্শীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
2) কোশ বিভাজন এবং কোশের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
3) মুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
4) ফলের বৃদ্ধি ঘটায়। অক্সিন এর প্রভাবে বিজবিহীন ফল সৃষ্টি হওয়াকে পার্থেনোকার্পি বলে।
5) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
6) উদ্ভিদ কোশের নিউক্লিয়াসের বিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে।
জিব্বেরেলিন হরমোনের উৎস ও ভূমিকা লিখো।
জিব্বেরেলিন : জিব্বেরেলিন হরমোনের রাসায়নিক নাম জিব্বেরেলিক অ্যাসিড ( GA )।
উৎস : উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে, মুকুল, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র, বর্ধিষ্ণু পাতায় সংশ্লেষিত হয়।
জিব্বেরেলিনের ভূমিকা :
1) মুকুল ও বীজের সুপ্ত অবস্থা ভঙ্গ করতে সক্ষম।
2) পর্বমধ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি না ঘটিয়ে দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটায়।
3) ফলের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সাইটোকাইনিন হরমোনের উৎস ও ভূমিকা লিখো।
সাইটো কাইনিন : সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক নাম 6 FAP ( 6 ফুরফুরাইল অ্যামিনো পিউরিন )।
উৎস : উদ্ভিদের ফল ও শস্যে সংশ্লেষিত হয়। নারকেলের তরল শস্য ( ডাবের জল ), টমেটোর রসে, ভুট্টার শস্যে সাইটোকাইনিন পাওয়া যায়।
সাইটো কাইনের ভূমিকা :
1) উদ্ভিদের কোশ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
2) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
3) পত্র মোচন বিলম্বিত করে, ক্লোরোফিল নষ্ট হওয়াকে রোধ করে।
কৃত্রিম হরমোন কাকে বলে?
কৃত্রিম হরমোন : যেসব হরমোন ল্যাবরেটরিতে সংশ্লেষ করা হয় অথচ প্রাকৃতিক হরমোনের মতোই কার্যকরী, তাদের সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম বা সিনথেটিক হরমোন বলে। যেমন - কৃত্রিম অক্সিন, কৃত্রিম জিব্বেরেলিন ইত্যাদি।
কৃত্রিম হরমোনের অপর নাম - প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটরস ( PGRs )।
কৃষিকাজে কৃত্রিম হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ লিখো।
কৃত্রিম হরমোনের ভূমিকা :
1) শাখা কলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
2) অপরিণত ফলের মোচন রোধ করে।
3) আগাছা নাশক হিসেবে কৃত্রিম অক্সিন ( 2, 4-D ) ব্যবহার করা হয়।
4) বীজবিহীন ফল সৃষ্টিতে সাহায্য করে ( NAA , IBA )।
হরমোনকে রাসায়নিক ( Chemical messenger ) দূত বলে কেন?
উত্তর:- হরমোন উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে অন্য অঙ্গের কলাকোশে রাসায়নিক বার্তা প্রেরণ করে সেই কোশের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হরমোনকে রাসায়নিক দূত বা রাসায়নিক বার্তাবহ বলা হয়।
বহিঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- যেসব গ্রন্থির ক্ষরণ নালীর বাইরে আসে, তাকে বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বা সনাল গ্রন্থি বলে। যেমন - লালা গ্রন্থি, ঘর্মগ্রন্থি ইত্যাদি।
অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- যেসব গ্রন্থির কোন নালী থাকে না, ক্ষরিত পদার্থ সরাসরি রক্ত বা লসিকায় মিশে তাদের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বা অনালগ্রন্থি বলে। যেমন - পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি ইত্যাদি।
মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- যে সকল গ্রন্থি অন্তক্ষরা ও বহিঃক্ষরা উভয় প্রকার গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত তাদের মিশ্রগ্রন্থি বলে। যেমন - অগ্ন্যাশয়।
বিভিন্ন অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোন এবং তাদের কাজ :
হাইপোথ্যালামাস কে সর্বোচ্চ প্রভু গ্রন্থি বা প্রভু গ্রন্থির প্রভু বলে কেন?
হাইপো থ্যালামাস : হাইপোথোলামাস থেকে নিঃসৃত হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করায়, একে সুপ্রিম কমান্ডার বা সর্বোচ্চ প্রভু গ্রন্থি বা প্রভুগ্রন্থির প্রভু বলে।
হাইপোথ্যালামাস থেকে কোন কোন হরমোন নিঃসৃত হয়? তাদের কাজ লিখো।
নিঃসৃত হরমোন ও তাদের কাজ :
1) অ্যাড্রেনো কর্টিকোট্রপিক রিলিজিং হরমোন ( ARH ) : ACTH ক্ষরণে পিটুইটারি গ্রন্থি উদ্দীপিত করে।
2) থাইরো ট্রপিন রিলিজিং হরমোন ( TRH ) : TSH ক্ষরণে উদ্দীপিত করে।
3) গ্রোথ ইনহিবিটিং হরমোন ( GIH ) : অগ্র পিটুইটারি কে GH ক্ষরণে বাধা দেয়। এটি সোমাটো স্ট্যাটিন নামে পরিচিত।
4) গোনাডো ট্রপিন রিলিজিং হরমোন ( GnRH ) : FSH ও LH ক্ষরণে উদ্দীপিত করে।
পিটুইটারি গ্রন্থি কে প্রভু গ্রন্থি বলে কেন?
এই গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন অন্যান্য অন্তক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে মাস্টার গ্ল্যান্ড বা প্রভু গ্রন্থি বলে।
পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে কোন কোন হরমোন ক্ষরিত হয়? তাদের কাজ লিখো।
নিঃসৃত হরমোন ও তাদের কাজ :
1) অ্যাড্রেনো কর্টিকো ট্রপিক হরমোন ( ACTH ) : অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির কর্টেক্স অঞ্চলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অধিক ক্ষরণে কুশিং বর্ণিত দেখা যায়।
2) গ্রোথ হরমোন ( GH ) : সোমাটো ট্রপিক হরমোন ( STH ) নামেও পরিচিত। শৈশবে এই হরমোন কম ক্ষরনে বামনত্ব এবং বেশি ক্ষরণে অতিকায়ত্ব হয়, পরিণত অবস্থায় কম ক্ষরণে অ্যাক্রোমিক্রিয়া ও বেশী ক্ষরণে অ্যাক্রোমেগালি হয়।
3) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন ( TSH ) : থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে।
4) গোনাডো ট্রফিক হরমোন ( GTH ) : জনন গ্রন্থির ( শুক্রাশয়, ডিম্বাশয় ) বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে।
5) অক্সিটোসিন : প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায়, স্তন গ্ৰন্থি থেকে দুগ্ধ নিঃসরণে সহায়তা করে।
6) ভেসোপ্রেসিন বা ( ADH ) : এই হরমোনের কম ক্ষরণে বহুমূত্র রোগ হয়।
দুটি নিউরো হরমোনের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- অক্সিটোসিন ( Oxytosin ) এবং ভেসোপ্রেসিন ( ADH )।
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে কোন হরমোন ক্ষরিত হয়? এর কাজ লিখো।
অথবা
থাইরক্সিন হরমোনের কাজ লিখো।
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনটি হল - থাইরক্সিন ( T4 )।
থাইরক্সিন হরমোনের কাজ :
1) বিপাকীয় কার্য নিয়ন্ত্রণ করে।
2) মৌল বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে।
3) লোহিত রক্তকণিকার ক্রম পরিণতিতে সাহায্য করে।
4) হৃদ স্পন্দনের হার রক্তচাপ ও শ্বসনের হার বৃদ্ধি পায়।
অগ্ন্যাশয় এর অন্তঃক্ষরা কোশ থেকে কোন কোন হরমোন ক্ষরিত হয়? তাদের কাজ লিখো।
অথবা
ইনসুলিন হরমোনের উৎস ও কাজ লিখো।
নিঃসৃত হরমোন ও তাদের কাজ :
A ) ইনসুলিন :
বিটা কোশ থেকে ক্ষরিত হয়। এটি একপ্রকার অ্যান্টি ডায়াবেটিক হরমোন।
ইনসুলিনের কাজ :
1) কোশ পর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে কোশে গ্লুকোজ প্রবেশ বৃদ্ধি করে।
2) রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কে যকৃত ও পেশিতে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চয় করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
3) যকৃতে নিওগ্লুকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় অর্শকরা থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়।
4) যকৃতে কিটোন বডি উৎপাদনে বাধা দেয়।
B ) গ্লুকাগন :
আলফা কোশ থেকে ক্ষরিত হয়।
গ্লুকাগন ইনসুলিন এর বিপরীত কাজ করে অর্থাৎ ইনসুলিন রক্তে শর্করা পরিমাণ হ্রাস করে এবং গ্লুকাগণ রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই গ্লুকাগণ হলো কিটোজেনিক হরমোন।
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে সুপ্রারেনাল গ্রন্থি বলে কেন?
এই গ্রন্থি বৃক্কের ঊর্ধ্বপ্রান্তে অবস্থিত তাকে সুপ্রারেনাল গ্রন্থি বলে।
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন ও তাদের কাজ লিখো।
এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন হলো অ্যাড্রেনালিন এবং নর - অ্যাড্রেনালিন।
অ্যাড্রেনালিন হরমোন :
এই হরমোনকে সংকটকালীন বা জরুরী কালীন হরমোন বলা হয়।
অ্যাড্রেনালিন হরমোনের কাজ -
এই হরমোনের কাজ হল -
1) হৃদ - উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে
2) হাঁপানির সময় শ্বাসকষ্ট দূর করে
3) পেশিকে সবল রাখে এবং অসাড়কাল বিলম্বিত করে।
4) BMR বৃদ্ধি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়, অশ্রু গ্রন্থির ক্ষরণ বাড়ায়।
নর - অ্যাড্রেনালিন হরমোনের কাজ :
এই হরমোনের কাজ হল -
1) বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে।
2) রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।
3) হৃদ পেশিকে উত্তেজিত করে।
4) যকৃৎ ও কঙ্কাল পেশীতে গ্লাইকোজেনালাইসিসের হার বৃদ্ধি করে।
মানুষের যৌন হরমোন কোনগুলি? তাদের উৎস ও কাজ লিখো।
জনন গ্রন্থি :
শুক্রাশয় : নিঃসৃত হরমোন টেস্টোস্টেরন।
টেস্টোস্টেরনের কাজ :
1) পুরুষদেহে যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ঘটে।
2) গলার স্বর মোটা হয়, চেহারা পেশী বহুল দেখায়, দাড়ি-গোঁফ গজায় এবং BMR বৃদ্ধি পায়।
ডিম্বাশয় : নিঃসৃত হরমোন - ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন।
ইস্ট্রোজেনের কাজ :
1) ডিম্ব উৎপাদন করা।
2) স্ত্রী দেহের প্রোটিন সংশ্লেষ, স্তনগ্রন্থিতে ফ্যাট সঞ্চয় করা, ত্বক কোমল করা।
3) ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ করা।
4) স্তন গ্রন্থির বিকাশ ঘটানো।
প্রোজেস্টেরনের কাজ :
1) স্ত্রীদেহে অমরা বা প্লাসেন্টা গঠনে ও গর্ভাবস্থায় ভ্রুনের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
2) ডিম্বাশয় ডিম্ব উৎপাদন বন্ধ রাখে এবং গর্ভাবস্থায় ঋতু চক্র বন্ধ রাখে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন