স্নেহের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, "Rajesh Sir Tutorial" এ তোমাদের স্বাগত জানাই। আশা করি তোমাদের পড়াশোনা বেশ ভালোই চলছে। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় "মুঘল সাম্রাজ্য" অংশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ও দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর গুলি সম্পর্কে। এই অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন - উত্তরগুলি তোমাদের আগামী পরীক্ষায় MCQ, SAQ এবং শূন্যস্থান পূরণ বা সত্য মিথ্যা নির্ণয় বিভিন্ন ভাবে আসতে পারে। এছাড়া যে অনুশীলনী প্রশ্নোত্তর গুলি দেওয়া হল সেগুলি আগামী পরীক্ষায় তোমাদের অবশ্যই আসবে। তাই তোমাদের আগামী পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে এই প্রশ্নোত্তর গুলি অতি অবশ্যই করে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই প্রশ্নোত্তরগুলি আসে। এ বিষয়ে আরেকটি কথা তোমাদের জানিয়ে রাখি, পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর এবং পরীক্ষার আগে সাজেশন তোমরা এই Rajesh Sir Tutorial পেজ থেকে পেয়ে যাবে। শ্রেণি :- সপ্তম শ্রেণি বিষয় :- ইতি...
WBBSE Madhyamik Life Science
দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়
জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
প্রথম অংশ : উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়া প্রদান
পর্ব : উদ্ভিদের চলন।
এই অংশে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর প্রথম অধ্যায়ের "উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়া প্রদান" এর "উদ্ভিদের চলন" - এই অংশটুকুর বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হল। পরবর্তী অংশের প্রশ্নগুলি পরবর্তী পোস্টে দেওয়া হবে। মাধ্যমিকে ভালো নম্বরের জন্য অবশ্যই www.rajeshsir.in এর সমস্ত নোটস গুলো এবং সাজেশনগুলো অনুশীলন করবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [সেট-১]
মাধ্যমিকের একটি অন্যতম বিষয় জীবন বিজ্ঞান। জীবন বিজ্ঞান একটি এমন বিষয় যেটি মনোযোগ সহকারে পড়লে অনায়াসে ৮০ শতাংশ নাম্বার পাওয়া সম্ভব। এই পোস্টে মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রথম অধ্যায়ের "উদ্ভিদের চলন" এই অংশের বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হল। আশা করি তোমাদের কাজে লাগবে।
: প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ :
১) সংবেদনশীলতা কাকে বলে?
উত্তর :- সংবেদনশীলতা : উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের সাড়া প্রদানের ক্ষমতা কে সংবেদনশীলতা বলে।
২) উদ্দীপক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- উদ্দীপক : যে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ শক্তি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীবদেহে গৃহীত হয় এবং জীবের মধ্যে নির্দিষ্ট সারা সৃষ্টিতে সাহায্য করে তাকে উদ্দীপক বা স্টিমুলাস বলে।
* তাপ, আলো, শব্দ ইত্যাদি হলো বাহ্যিক উদ্দীপক এবং হরমোন হলো অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।
৩) চলন ও গমনের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর:- চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে অর্থাৎ স্থানান্তরে না গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে।
গমন : যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকে প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
৪) রোটেশন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- রোটেশন : পরিণত উদ্ভিদ কোষের অভ্যন্তরস্থ একটি বৃহৎ কোশ গহ্বরকে কেন্দ্র করে সমগ্র প্রোটোপ্লাজমের আবর্তন কে রোটেশন বলে।
* পাতা শ্যাওলা নামক এককোশী উদ্ভিদে রোটেশন দেখা যায়।
৫) সারকুলেশন কাকে বলে? কোন উদ্ভিদের সারকুলেশন দেখা যায়?
উত্তর:- সারকুলেশন : কিছু কিছু উদ্ভিদ কোশের অভ্যন্তরস্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোশ গহ্বরকে কেন্দ্র করে প্রোটোপ্লাজমের আবর্তনকে সারকুলেশান বলে।
* কুমড়ো গাছের কান্ডের রোমে সারকুলেশন দেখা যায়।
৬) উদ্ভিদ অঙ্গের চলনের শ্রেণীবিভাগ করো।
উত্তর:- উদ্ভিদের চলনের প্রকারভেদ :
উদ্ভিদ চলন তিন প্রকার - i) ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন ii) ট্রপিক চলন বা দিগ নির্ণীত চলনএবং iii) ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন।
৭) ট্যাকটিক চলন কাকে বলে?
উত্তর:- ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন : আলো, তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ, বিদ্যুৎ শক্তি প্রভৃতি বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ কিংবা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তনকে ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন বলে।
ফটো ট্যাকটিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
ফটোট্যাকটিক : সমগ্র উদ্ভিদ দেহ যখন আলোক উদ্দীপকে প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে ফটো ট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : কতিপয় শৈবাল যেমন ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স ইত্যাদি।
৮) কেমো ট্যাকটিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- কেমোট্যাকটিক : রাসায়নিক উদ্দীপকে প্রভাবে যে চলন ঘটে তাকে কেমোট্যাকটিক চলন বলে।
উদাহরণ : মসের শুক্রাণু সুক্রোজের প্রভাবে এবং ফার্নের শুক্রাণু ম্যালিক অ্যাসিডের প্রভাবে ডিম্বানুর দিকে অগ্রসর হয়।
৯) ট্রপিক চলন কাকে বলে?
উত্তর:- ট্রপিক চলন বা দিগ্ নির্ণীতচলন : উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা উদ্দীপকের গতিপথের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলন কে ট্রপিক চলন বা দিগ নির্ণীত চলন বলে।
১০) ট্রপিক চলন কয় প্রকার ও কি কি? তাদের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর:- ট্রপিক চলন প্রধানত তিন প্রকার -
* ফটো ট্রপিক বা আলোকবৃত্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ফটোট্রপিক চলন বলে।
উদ্ভিদের কাণ্ড ও শাখা প্রশাখা আলোকরশ্মির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে বৃদ্ধি পায়, কাণ্ড ও শাখাকে অনুকূল আলোকবর্তি বলা হয়।
মূল আলোক উৎসের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়, তাই মূলকে প্রতিকূল আলোকবর্তি বলে এবং পাতা আলোকরশ্মির সঙ্গে তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায় বলে পাতাকে তির্যক আলোকবর্তি বলা হয়।
* হাইড্রো ট্রপিক বা জলবৃত্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে হাইড্রো ট্রপিক চলন বলে।
উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়, তাই মূলকে অনুকূল জলবর্তি বলে। কান্ড জলের উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়, তাই কান্ডকে প্রতিকূল জলবর্তি বলে।
* জিও ট্রপিক বা অভিকর্ষ বৃত্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে অভিকর্ষ বৃত্তি চলন বলে। উদ্ভিদের মূলকে অনুকূল অভিকর্ষবর্তি এবং কান্ডকে প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তি বলে।
১১) ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
উত্তর:- ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না নিয়ন্ত্রিত হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকার চলন কে ন্যাস্টিক চলন বলে।
উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুসারে ন্যাস্টিক চলন চার প্রকার। (নিচে তাদের সংজ্ঞা দেওয়া হল)
১২) ফটো ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- ফটো ন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন যখন আলোকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে ফটো ন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন - পদ্ম, সূর্যমুখী প্রভৃতি ফুল তীব্র আলোতে ফোটে এবং কম আলোতে মুদে যায়।
১৩) থার্মো ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- থার্মো ন্যাস্টিক বা তাপ ব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন যখন উষ্ণতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে থার্মো ন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন - টিউলিপ ফুলের পাপড়ি অধিক তাপে খোলে এবং কম তাপে মুদে যায়।
১৪) সিসমো ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- সিসমোন্যাস্টিক বা স্পর্শ ব্যাপ্তি চলন : স্পর্শ, ঘর্ষণ, আঘাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলনকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন লজ্জাবতী লতার পাতার স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রগুলি নুয়ে পড়ে।
১৫) কেমো নাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:- কেমো ন্যাস্টিক বা রসায়ন ব্যাপ্তি চলন : কোন রাসায়নিক পদার্থের ( প্রোটিন, ইথার, ক্লোরোফর্ম ইত্যাদি) সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের যে সঞ্চালন বা চলন ঘটে তাকে কেমো ন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন - সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার কর্সিকা গুলি পতঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র বেঁকে গিয়ে পতঙ্গ কে আবদ্ধ করে।
এই অংশের যাবতীয় MCQ এবং SAQ এর প্রশ্নোত্তর পেতে Click Here
মসের শুক্রানু সুক্রোজের প্রভাবে এবং ফার্নের শুক্রানু ম্যালিক অ্যাসিডের প্রভাবে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয় , একে কেমোট্যাকটিক চলন বলে ।
উত্তরমুছুন