আদরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির " পরিবেশ ও বিজ্ঞান" বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায় "শিলা ও খনিজ" অংশটির একাধিক প্রশ্ন ও তার উত্তর। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার পরিবেশ বিষয়ের প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তরগুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6th Science Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ – "শিলা ও খনিজ পদার্থ" (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 6 Science / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ – চতুর্থ অধ্যায় "শিলা ও খনিজ পদার্থ" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 6th Science Question and Answer / ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান (চতুর্থ অধ্যায়) "শিলা ও খনিজ পদার্থ" প্রশ্ন উত্তর (সকল প্রশ্নোত্তর একসঙ্গে)/Class 6 "Poribesh O Bigyan" Fourth chapter "Shila O Khanij" questions and Answers / ষষ্ঠ শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় "শিলা ও খনিজ পদার্থ"।
বোর্ড :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শ্রেণি :- ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় :- পরিবেশ ও বিজ্ঞান
অধ্যায় :- চতুর্থ অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- শিলা ও খনিজ পদার্থ
১) ম্যাগমা কাকে বলে?
উত্তর :- পৃথিবী পৃষ্ঠের গভীরে অবস্থিত গলিত বা উত্তপ্ত তরলীকৃত শিলাকে ম্যাগমা বলা হয়।
২) লাভা কাকে বলে?
উত্তর :- ম্যাগমা যখন কোনো পাথরের ফাটল বা পাহাড়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন তাকে লাভা বলে।
৩) শিলা কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- শিলা তিন প্রকার। যথা - আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা বা পরিবর্তিত শিলা।
৪) আগ্নেয় শিলা কাকে বলে?
উত্তর :- উত্তপ্ত লাভা শীতল হয়ে জমে গিয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়শিলা বলে।
(অনুরূপ প্রশ্ন) আগ্নেয় শিলা আসলে কী?
উত্তর :- জমাট - বাঁধা লাভাই হল আগ্নেয় শিলা।
৫) কয়েকটি আগ্নেয় শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ব্যাসাল্ট, গ্রানাইট এবং পিউমিস।
৬) রেললাইনের ধারে কোন শিলা দেখা যায়?
উত্তর :- ব্যাসল্ট শিলা।
৭) পিউমিস শিলার অপর নাম কী?
উত্তর :- ঝামা পাথর।
৮) পিউমিস শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর :- উত্তপ্ত ম্যাগমার উপরে ফেনার মতো অংশ তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে পিউমিস তৈরি হয়।
৯) পিউমিস পাথরে ছিদ্র সৃষ্টি দেখা যায় কেন?
উত্তর :- পিউমিস পাথরে অনেক ছিদ্র দেখা যায় কারণ তরল ম্যাগমায় দ্রবীভূত গ্যাস ম্যাগমার মধ্যে দিয়ে বেরোবার সময় পিউমিস পাথরে ছিদ্র সৃষ্টি করে।
১০) পাললিক শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর :- হ্রদ, নদী, সমুদ্রের জলের নীচে পলি জমা হয়। মাটির নীচে গরমে আর চাপে লক্ষ লক্ষ বছরে সেই পলি থেকেই পাললিক শিলা সৃষ্টি হয়।
১১) কোন শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়?
উত্তর :- পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
১২) কয়েকটি পাললিক শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর :- বেলে পাথর, শেল, চুনাপাথর ইত্যাদি।
১৩) পরিবর্তিত শিলা বা রূপান্তরিত শিলা কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর :- আগ্নেয় শিলা এবং পাললিক শিলা মাটির গভীরে গরমে এবং চাপে বদলে গিয়ে পরিবর্তিত শিলা তৈরি করে।
১৪) কয়েকটি পরিবর্তিত শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর :- মার্বেল, শ্লেট।
১৫) চুনাপাথর পরিবর্তিত হয়ে কোন শিলায় পরিনত হয়?
উত্তর :- মার্বেল।
১৬) শেল পরিবর্তিত হয়ে কোন শিলায় পরিণত হয়?
উত্তর :- স্লেট।
১৭) গ্রানাইট কোন শিলায় পরিবর্তিত হয়?
উত্তর :- নীস।
১৮) ধাতুর খনিজ বা মিনার্যাল কাকে বলে?
উত্তর :- প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধাতুর নানান যৌগ বালি মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের ধাতুর খনিজ বা মিনারেল বলে।
১৯) ধাতু নিষ্কাশন কাকে বলে?
উত্তর :- যে পদ্ধতিতে খনিজ থেকে ধাতুকে আলাদা করা হয়, তাকে ধাতু নিষ্কাশন বলে।
২০) ধাতুর আকরিক বা ওর (Ore) কাকে বলা হয়?
উত্তর :- যে খনিজ থেকে ধাতুকে সস্তায় ও সহজে বার করা সম্ভব তাকে ধাতুর আকরিক বা ওর বলা হয়।
২১) লোহার প্রধান আকরিকের নাম কী?
উত্তর :- হেমাটাইট।
২২) অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম কী?
উত্তর :- বক্সাইট।
২৩) তামার প্রধান আকরিকের নাম কী?
উত্তর :- কপার গ্লান্স।
২৪) লোহার আকরিকে কী কী মৌল থাকে?
উত্তর :- লোহা, অক্সিজেন।
২৫) অ্যালুমিনিয়ামের আকরিকে কি কি মৌল থাকে?
উত্তর :- অ্যালুমিনিয়াম এবং অক্সিজেন।
২৬) তামার আকরিকে কী কী মৌল থাকে?
উত্তর :- তামা এবং সালফার।
২৭) কয়েকটি সংকর ধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- গয়নার সোনা, ইলেকট্রিকের ফিউজের তারের ধাতু এবং ধাতুর জিনিস জোড়া দেওয়ার রাঙঝাল প্রভৃতি।
২৮) অশ্ম শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- পাথর।
২৯) জ্বালানি কাকে বলে?
উত্তর :- যা জ্বালিয়ে বা পুড়িয়ে আমরা তাপ পাই, তাই হল জ্বালানি।
৩০) কয়েকটি জ্বালানির উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কাঠ, খড়, কাগজ গোবর ইত্যাদি।
৩১) জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে?
উত্তর :- নানা ধরনের জীবের দেহাবশেষ পচে গিয়ে কোটি কোটি বছর পরে তা জ্বালানিতে পরিণত হয়। এই ধরনের জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
৩২) কয়েকটি জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩৩) কোন জীবাশ্ম জ্বালানি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :- কয়লা।
৩৪) এল.পি.জি (L.P.G) -এর পুরো নাম কী?
উত্তর :- লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস।
৩৫) এল.পি.জি -এর প্রধান উপাদান কী?
উত্তর :- প্রোপেন।
৩৬) সি.এন.জি (C.N.G) এর পুরো নাম কী?
উত্তর :- কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস।
৩৭) সি.এন.জি -এর প্রধান উপাদান কী?
উত্তর :- মিথেন।
৩৮) সি.এন.জি কী কাজে লাগে?
উত্তর :- সিএনজি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন এমনকি এখন অনেক জায়গায় বাস চালানো হচ্ছে।
৩৯) এল.পি.জি কী কাজে লাগে?
উত্তর :- এলপিজি সাধারণত রান্নার গ্যাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৪০) পেট্রোলিয়াম শোধন করা কাকে বলে?
উত্তর :- জল, মাটি ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ দূর করার পর তবেই পেট্রোলিয়াম থেকে নানান জ্বালানি পাওয়া যায়। একে বলে পেট্রোলিয়াম শোধন করা।
৪১) পেট্রোলিয়াম শোধন করা দরকার কেন?
উত্তর :- পেট্রোলিয়াম হল চটচটে তরল একটা মিশ্রণ। এতে বহু রকমের যৌগ, জল, মাটি ইত্যাদি মিশে থাকে। একে সরাসরি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। তাই মাটি থেকে তোলার পর পেট্রোলিয়ামকে শোধন করা দরকার।
৪২) পেট্রোলিয়াম থেকে কী কী জ্বালানি পাওয়া যায়?
উত্তর :- পেট্রোলিয়াম থেকে চার রকম জ্বালানি পাওয়া যায়। এগুলি হল - কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল এবং এল.পি.জি।
৪৩) কয়েকটি মিশ্র ধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কাঁসা বা পিতল, ব্রোঞ্জ।
৪৪) কাঁসা বা পিতল কোন কোন ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয়?
উত্তর :- তামা এবং দস্তা।
৪৫) ব্রোঞ্জ কোন কোন ধাতু মিশিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর :- তামা এবং টিন।
৪৬) সংকর ধাতু বা মিশ্র ধাতু কী?
উত্তর :- কোনো ধাতুর সঙ্গে অন্য ধাতু বা অধাতু বিশেষ মাত্রায় মিশিয়ে গলিয়ে নিয়ে সেই তরল মিশ্রণকে ঠান্ডা করে যে-মিশ্র পদার্থ বা কঠিন দ্রবণ পাওয়া যায়, তাকে সংকর ধাতু বা মিশ্র ধাতু বলে। উদাহরণ :- তামা ও টিনের মিশ্রণে তৈরি ব্রোঞ্জ।
৪৭) জীবাশ্ম বা ফসিল কাকে বলে?
উত্তর :- জীবাশ্ম শব্দের অর্থ - জীব + অশ্ম, অর্থাৎ পাথরের গায়ে কোন জীবের ছাপ লেগে থাকাকে সংক্ষেপে জীবাশ্ম বলে। জীবদেহের আংশিক বা সম্পূর্ণ শিলাভূত বা প্রস্তরীভূত অবস্থা বা ছাপ বহু দিন ধরে ভৌত-রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভে বিভিন্ন পাললিক শিলাস্তরে সংরক্ষিত হলে, তাকে জীবাশ্ম বলে।
৪৮) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আলোচনা করো।
উত্তর :- জীবাশ্ম জ্বালানির নানান ব্যবহার রয়েছে। যেমন-
A) রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে :- বাতাসের অনুপস্থিতিতে কয়লাকে বেশি উষ্ণতায় গরম করা হলে কঠিন অবশেষ তলার গ্যাস পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়াম থেকে বহু দরকারি জৈব যৌগ আলাদা করা হয়।
B) জ্বালানী হিসাবে :- বর্তমানে কয়লা, পেট্রোল ইত্যাদিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায় এবং তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
৪৯) প্রাথমিক শিলা কাকে বলে ও কেন?
অথবা
আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলা বলে কেন?
উত্তর :- আগ্নেয়শিলা-কে প্রাথমিক শিলা বলে। যাবতীয় শিলার মধ্যে এই শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছে, প্রায় 300 কোটি বছর আগে। ভূগর্ভের আগ্নেয় পদার্থ, ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে জমাট বেঁধে সর্বপ্রথম পৃথিবীর পৃষ্ঠ বা ভূত্বক গঠন করে, সেজন্য একে প্রাথমিক শিলা বলে।
৫০) আগ্নেয়শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর :- আগ্নেয়শিলার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
i. আগ্নেয়শিলা খুব ভারী, কঠিন ও শক্ত, তাই এই শিলা সহজে ক্ষয়ে যায় না।
ii. আগ্নেয়শিলার মধ্যে কোনো রকম স্তরভাগ থাকে না, তাই একে অস্তরীভূত শিলা বলে।
iii. আগ্নেয় পদার্থ (লাভা) জমা হয়ে উত্তপ্ত অবস্থায় এই শিলা সৃষ্টি হয় এবং ভূত্বকের ওপর সবার প্রথমে গঠিত হয় বলে একে প্রাথমিক শিলাও বলে।iv. আগ্নেয়শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় না।
v. আগ্নেয়শিলা অম্লধর্মী বা ক্ষারকীয় উভয় প্রকার হতে পারে।
৫১) পাললিক শিলার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
i. সমস্ত শিলার মধ্যে পাললিক শিলা সবথেকে নরম, হালকা ও ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়, সেজন্য সহজেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ক্ষয়ে যায়।
ii. সবরকম শিলার মধ্যে একমাত্র পাললিক শিলায় সচ্ছিদ্রতা আছে।
iii. পাললিক শিলা স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে একে স্তরীভূত শিলা-ও বলে।
iv. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়। এছাড়া কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
৫২) পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কেন?
উত্তর :- পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কারণ এই শিলাগুলি নরম, নদী বা সমুদ্রের নিচে তৈরি
হয়। সেখানে মৃত প্রাণী ও উদ্ভিদের অংশগুলি কম তাপে সংরক্ষিত থাকে। অন্যদিকে আগ্নেয় শিলায় উচ্চতাপে জীবাশ্ম নষ্ট হয়ে যায়, তাই আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন