আদরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা, Rajesh Sir Tutorial পেজে তোমাদের স্বাগত। আমরা তোমাদের সফলতায়, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে তোমাদের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির "পরিবেশ ও বিজ্ঞান" বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায় "মৌলিক, যৌগিক ও মিশ্র পদার্থ" অংশটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারলে তোমাদের প্রথম সামেটিভ পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কোন অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলেই প্রথম সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর এখান থেকেই আসবে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নোত্তর গুলি খুব ভালোভাবে অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নোত্তর পেতে তোমরা www.rajeshsir.in - এ খোঁজ করবে।
বোর্ড :- পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শ্রেণি :- ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় :- পরিবেশ ও বিজ্ঞান
অধ্যায় :- তৃতীয় অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- মৌলিক, যৌগিক ও মিশ্র পদার্থ
আলোচ্য অংশ :- এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ১,২ নম্বরের প্রশ্নোত্তর গুলি সম্পর্কে
-: মৌলিক যৌগিক ও মিশ্র পদার্থ :-
১) পদার্থের কয়টি অবস্থা ও কী কী?
উত্তর :- পদার্থের তিনটি অবস্থা। যথা - কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়।
২) কঠিন পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে সকল পদার্থের আকার এবং আয়তন উভয়ই আছে, তাদের কঠিন পদার্থ বলে।
উদাহরণ :- লোহা প্লাস্টিক কয়লা ইত্যাদি।
৩) তরল পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :-যে সকল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই, তাদের তরল পদার্থ বলে।
উদাহরণ :- জল, সরষের তেল, দুধ ইত্যাদি।
৪) গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে সকল পদার্থের আকার এবং আয়তন নেই, তাদের গ্যাসীয় পদার্থ বলে।
উদাহরণ :- ধুপের ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া।
৫) দুটি ধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
৬) একটি অধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কাঠকয়লা।
৭) একটি তরল ধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- পারদ।
৮) কোন অধাতু তাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী?
উত্তর :- গ্রাফাইট।
৯) কোন অধাতু তাপের সুপরিবাহী?
উত্তর :- হিরে।
১০) বাতাসের মধ্যে কোন কোন উপাদান থাকে?
উত্তর :- নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাস।
১১) মিশ্র পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে সকল পদার্থের মধ্যে একের বেশি পদার্থ মিশে থাকে তাকে মিশ্র পদার্থ বলে। যেমন - বাতাস, শরবত, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি।
১২) মৌলিক পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে সকল পদার্থের মধ্যেএকটি পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ মিশে থাকে না, তাদের মৌলিক পদার্থ বলে।
উদাহরণ :- বিশুদ্ধ লোহা।
১৩) যৌগিক পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- একাধিক মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক সমন্বয়ে যে পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
উদাহরণ :- জল।
১৪) পরমাণু কাকে বলে?
উত্তর :- মৌলের যে ক্ষুদ্রতম কণার মধ্যে ওই মৌলের রাসায়নিক গুণ বর্তমান থাকে সেই ক্ষুদ্রতম কণাকে মৌলের পরমাণু বলে।
১৫) অণু কাকে বলে?
উত্তর :- পরমাণুদের জোটবদ্ধ অবস্থাকে ওই মৌলের অণু বলে।
১৬) জলের অণুর মধ্যে কোন কোন পরমাণু বর্তমান?
উত্তর :- হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।
১৭) চিহ্ন কাকে বলে?
উত্তর :- মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষরটা বড় হরফে লিখে অনেক মৌলকে সংক্ষেপে প্রকাশ করা যায়। মৌলের নামের এই সংক্ষিপ্ত রূপকেই মৌলের চিহ্ন বলা হয়।
১৮) নিচের মৌল গুলির চিহ্ন লেখো।
নাইট্রোজেন - N
সালফার -S
ফসফরাস - P
আয়োডিন - I
হাইড্রোজেন - H
কার্বন - C
অক্সিজেন - O
হিলিয়াম - He
ব্রোমিন - Br
ম্যাঙ্গানিজ - Mn
ম্যাগনেশিয়াম - Mg
পটাশিয়াম - K
সোডিয়াম - Na
তামা - Cu
লোহা - Fe
সোনা - Au
রুপা - Ag
১৯) যোজ্যতা কাকে বলে?
উত্তর :- দুটি মৌলের পরস্পর যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজন ক্ষমতা বা যোজ্যতা বলে।
২০) দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর :- তরল পদার্থের সঙ্গে কঠিন পদার্থের বা তরল পদার্থের সঙ্গে তরল পদার্থের মিশ্রণকে দ্রবণ বলে।
২১) দ্রাব এবং দ্রাবক কাকে বলে?
উত্তর :- দ্রবণ তৈরির সময় যে পদার্থটা গুলে যায় সেটা দ্রাব আর যার মধ্যে গুলে যায় সেটি দ্রাবক।
২২) চিনির শরবতের দ্রবণে কোনটি দ্রাবক এবং কোনটি দ্রাবক হিসেবে কাজ করে?
উত্তর :- চিনি দ্রাব এবং জল দ্রাবক।
২৩) পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে ছাঁকনি হিসেবে কোন কাগজ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর :- ফিলটার কাগজ।
২৪) পরিস্রাবণ কাকে বলে?
উত্তর :- ফিলটার কাগজের মতো ছাঁকনির সাহায্যে তরল ও কঠিনকে আলাদা করার পদ্ধতি হলো ফিলটার করা বা পরিস্রাবণ।
২৫) অবশেষ কাকে বলে?
উত্তর :-ফিলটার করার পর ফিলটার কাগজের ওপর পড়ে থাকা কঠিন পদার্থটিকে অবশেষ বলে।
২৬) কেলাস কাকে বলে?
উত্তর :- নুন বা চিনির মতো চকচকে দানা দানা অংশগুলিকে কেলাস বলে।
২৭) কেলাসন কাকে বলে?
উত্তর :- দ্রবণ থেকে কঠিন পদার্থের কেলাস তৈরির পদ্ধতিকে কেলাসন বলে।
২৮) কোনো জিনিসে যদি লোহার গুঁড়ো মিশে থাকে তাহলে কিসের সাহায্যে তাকে আলাদা করা যাবে?
উত্তর :- চুম্বকের সাহায্যে।
২৯) জলের সংকেত কী?
উত্তর :- H২O
৩০) কোন মৌলের একটিমাত্র যোজ্যতা আছে?
উত্তর :- অক্সিজেন।
৩১) সবচেয়ে কঠিন মৌল কোনটি?
উত্তর :- হীরক বা হিরে।
৩২) কোন গ্যাস আগুন জ্বলতে সাহায্য করে?
উত্তর :- অক্সিজেন গ্যাস।
৩৩) সবচেয়ে হালকা নিষ্ক্রিয় মৌল কোনটি?
উত্তর :- হিলিয়াম।
৩৪) একটি তরল অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর :- ব্রোমিন।
৩৫) একটি কঠিন অধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর :- আয়োডিন।
৩৬) জলের চেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
উত্তর :- সোডিয়াম।
৩৭) প্রকৃতিতে মোট কয়টি মৌল রয়েছে?
উত্তর :- ৯২ টি।
৩৮) জলের সংকেত H₂O থেকে কী কী জানা যায়?
উত্তর :- H₂O সংকেত থেকে জানা যায়-
i) জল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
ii) এটি জলের 1টি অণুকে বোঝায় যাতে ২টি হাইড্রোজেন পরমাণু ও 1টি অক্সিজেন পরমাণু আছে।
৩৯) সংকেত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- চিহ্নের সাহায্যে কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের একটি অণুকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংকেত বলে। উদাহরণ: জলের সংকেত H₂O
৪০) দুটি কেলাস গঠনকারী যৌগের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- চিনি ও তুঁতে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন