প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা, আজ আমরা এই অংশে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় মৃত্তিকা দূষণ অংশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর গুলি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এই প্রশ্ন - উত্তর গুলি তোমরা অনুশীলন করলে আগামী বার্ষিক পরীক্ষায় ভূগোল বিষয়ে খুব ভালো ফলাফল করতে পারবে।
এই ( মাটি দূষণ )অধ্যায়টি বার্ষিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ছোট এবং বড় মিলিয়ে একাধিক প্রশ্ন আসবে। তাই তোমরা ভালো ফলাফলের জন্য এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই মুখস্থ করবে।
Some Important Geography questions and the answer for the students of class 7 of West Bengal board of secondary education WBBSE. Chapter number 8, mrittika Dhushon ( Soil Pollution ).
অধ্যায় :- অষ্টম অধ্যায়
মাটি দূষণ
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
নিম্নলিখিত এই প্রশ্নগুলি SAQ এবং MCQ আকারে আসতে পারে। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের পড়ার সুবিধার জন্য প্রশ্নগুলি SAQ আকারে দেওয়া হলো।
১) একটি কীটনাশকের নাম লেখো।
উত্তর :- ডিডিটি।
২) কৃষি জমিতে মাটি লবনতা সৃষ্টি প্রধান কারণ কোনটি?
উত্তর :- ক্রমবর্ধমান জলসেচ।
৩) ভারতে ভূমিক্ষয়ের হার কত?
উত্তর :- পৃথিবীর মোট ভূমিক্ষয় এর ১৮.৫ ভাগ।
৪) একটি সজীব মৃত্তিকা দূষকের নাম লেখো।
উত্তর :- রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।
৫) একটি অজীব মৃত্তিকা দূষকের নাম লেখো।
উত্তর :- পারদ।
৬) মৃত্তিকার একটি জৈব দূষকের নাম লেখো।
উত্তর :- পেস্টিসাইড।
৭) অম্ল বৃষ্টির ফলে মৃত্তিকার কি ক্ষতি হয়?
উত্তর :- উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৮) ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনা কবে ঘটেছিল?
উত্তর :- ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর।
৯) গন্ধ দূষণের একটি উৎসের নাম লেখো।
উত্তর :- নর্দমা।
১০) মাটির উৎপত্তি, গঠন ও জীবের সঙ্গে সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে কি বলে?
উত্তর :- পেডোলজি।
১১) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে অম্ল বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি হয় কোন গ্যাসের কারণে?
উত্তর :- সালফার ডাই অক্সাইড।
১২) ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য কোন গ্যাস দায়ী?
উত্তর :- মিথাইল আইসো সায়ানেট বা MIC গ্যাস।
১৩) চেরনোবিল দুর্ঘটনা কবে ঘটেছিল?
উত্তর :- ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ২৬ এপ্রিল।
১৪) ভারতে সৃষ্ট একটি মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়ের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা।
১৫) জাপানে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা কত সালে ঘটেছিল?
উত্তর :- ২০১১ সালে।
১৬) ভূমির উপরিস্তরের এক সেমি মৃত্তিকা উৎপন্ন হতে কত সময় লাগে?
উত্তর :- ৫০০ বছর।
১৭) ভারতের কোথায় ভূমি সংরক্ষণ গবেষণাগার তৈরি হয়েছে?
উত্তর :- দেরাদুনে।
১৮) কৃষি জমিতে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক সারের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ইউরিয়া।
১৯) পৃথিবীর মোট ভূমির কত অংশ ভারতের অন্তর্গত?
উত্তর :- ২.৪ শতাংশ
২০) প্লাস্টিক কি ধরনের দূষক পদার্থ?
উত্তর :- জীব অবিশ্লেষ্য পদার্থ।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ অথবা ৩
১) মাটি কিভাবে দূষিত হয়?
উত্তর :- কারখানার দূষিত বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনা, প্লাস্টিক, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থের কারণে মাটির উর্বরতা বা গুণগতমান নষ্ট হলে, একে মাটি দূষণ বলে।
২) পারদ ধাতুর বিষক্রিয়ায় মানুষের শরীরে কি কি উপসর্গ দেখা যায়?
উত্তর :- পারদ ধাতুর বিষক্রিয়ায় মস্তিষ্কের কোশের বিনাশ ও ক্রিয়াহীনতা, দৃষ্টিহীনতা ও বধিরত্ব এবং পেশির শৈথিল্য দেখা যায়।
৩) অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে?
উত্তর :- বৃষ্টির জলের সঙ্গে বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন অ্যাসিড যেমন সালফার-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড প্রভৃতি মিশে ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বা Acid Rain বলে। পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলিতে অ্যাসিড বৃষ্টির প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
৪) স্টোন ক্যান্সার বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- বৃষ্টির জলের সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে। ওই অ্যাসিড মিশ্রিত বৃষ্টির জল মার্বেল, চুনাপাথর নির্মিত স্মৃতিসৌধের গায়ে পড়লে তাতে অসংখ্য ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি করে, একে স্টোন ক্যান্সার বলে।
৫) মৃত্তিকা দূষণের কারণ গুলি আলোচনা করো।
উত্তর :- মৃত্তিকা নানাভাবে দূষিত হয়। নিচে মৃত্তিকা দূষণের কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
i ) অগ্নুৎপাত :- অগ্নুৎপাতের সময় ভূ-অভ্যন্তর থেকে নির্গত লাভা, ছাই ও রাসায়নিক পদার্থ উপরে এসে মৃত্তিকা দূষণ করে।
ii ) কৃষিকাজ :- কৃষিকাজ করার সময় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা মৃত্তিকা দূষণের অন্যতম কারণ।
iii ) নগরায়ন :- নগরায়ন ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে বসতি চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে মানুষ বন কেটে বসতি স্থাপন করে, যা মৃত্তিকা ক্ষয় ঘটায়।
iv ) গৃহস্থালির আবর্জনা :- গৃহস্থালির বিভিন্ন আবর্জনা মাটি দূষণ ঘটায়।
v ) মলমূত্র ত্যাগ :- গ্রামাঞ্চলে এবং বস্তি এলাকায় মানুষ যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে। এর ফলে মৃত্তিকা দূষণ ঘটে।
৬) মাটি দূষণ প্রতিরোধে কি করা উচিত ?
উত্তর :- মাটি দূষণ প্রতিরোধের জন্য করণীয় গুলি হল -
ক ) গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থ বা আবর্জনা সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে।
খ ) পলিথিনের বদলে কাগজ বা পাটের থলের ব্যবহার করতে হবে।
গ ) কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের বদলে বেশি করে জৈব সারের ব্যবহার করতে হবে।
ঘ ) বাড়ির উঠোন, বাগান বা রাস্তার ধারে গাছ লাগাতে হবে।
৭) মাটি দূষণ প্রতিরোধে কি করা উচিত নয়?
উত্তর :- মাটি দূষণ প্রতিরোধে -
ক ) যেখানে সেখানে দরজার বা আবর্জনা ফেলা উচিত নয়।
খ ) গাছ কাটা বা গাছপালার ক্ষতি বন্ধ করতে হবে।
গ ) কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করা চলবেনা।
ঘ ) যেখানে সেখানে মল মূত্র ত্যাগ করা উচিত নয়।
৮) মাটি দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব গুলি কি কি?
উত্তর :- মাটি দূষণের ফলে নিম্নলিখিত প্রভাব গুলি দেখা যায়-
ক ) মৃত্তিকা দূষণের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়।
খ ) মৃত্তিকার অম্লতা বৃদ্ধি পায়।
গ ) মৃত্তিকা দূষণ ভৌম জলের দূষণকে ত্বরান্বিত
করে।
ঘ ) গৃহপালিত পশুর বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।
ঙ ) কৃষিজাত ফসলের গুণগত মান হ্রাস পায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন