এই ( ইউরোপ মহাদেশ ) অধ্যায়টি বার্ষিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ছোট এবং বড় মিলিয়ে একাধিক প্রশ্ন আসবে। তাই তোমরা ভালো ফলাফলের জন্য এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই মুখস্থ করবে।
Some Important Geography questions and the answer for the students of class 7 of West Bengal board of secondary education WBBSE. Chapter number 11, Europe Mohadesh ( Europe Continent).
অধ্যায় :- একাদশ অধ্যায়
অধ্যায়ের নাম :- ইউরোপ মহাদেশ
** প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ **
১) ইউরোপ মহাদেশ এশিয়ার কোন দিকে অবস্থিত?
উত্তর :- পশ্চিম দিকে।
২) ইউরোপ মহাদেশ পৃথিবীর কত তম মহাদেশ?
উত্তর :- ষষ্ঠ বৃহত্তম মহাদেশ।
৩) ইউরোপ মহাদেশের দেশের সংখ্যা কয়টি?
উত্তর :- ৫৬ টি।
৪) ইউরোপ মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- ককেশাস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এলবুর্জ ( ৫৬৪২ মিঃ ) ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
৫) ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্ত অবস্থিত আল্পসের শৃঙ্গ টির নাম কি?
উত্তর :- মঁ - ব্লা।
৬) ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদ কোনটি?
উত্তর :- ল্যাডোগা ( ১৭৭০০ বর্গ কিমি )।
৭) হাজার হ্রদের দেশ কাকে বলা হয়?
উত্তর :- ফিনল্যান্ড।
৮) ইউরোপের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তর :- ভলগা।
৯) স্তেপ কাকে বলে?
উত্তর :- ইউরোপের মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে যে তৃণভূমি তৈরি হয়েছে, তা স্তেপ নামে পরিচিত।
১০) রূঢ় শিল্পাঞ্চলের ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর :- প্রায় ৪,৬০০ বর্গ কিমি।
১১) রূঢ় শিল্পাঞ্চলের প্রধান নদী কোনটি?
উত্তর :- রাইন।
১২) ইউরোপের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরির নাম কি?
উত্তর :- হেকলা।
১৩) ফ্রান্সের দীর্ঘতম নদীটির নাম কি?
উত্তর :- সিন।
১৪) পোল্যান্ডের দীর্ঘতম নদীটির নাম কি?
উত্তর :- ভিসচূলা।
১৫) ইতালির দীর্ঘতম নদীটির নাম কি?
উত্তর :- পো।
১৬) ইউরোপের শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক নদী কোনটি?
উত্তর :- দানিয়ুব।
১৭) ইউরোপের ব্যস্ততম অভ্যন্তরীণ জলপথ কোনটি?
উত্তর :- রাইন।
১৮) রাইন নদীর দুটো উপনদীর নাম লেখো।
উত্তর :- রূঢ়, নিপে।
১৯) রূঢ় শিল্পাঞ্চলের প্রধান খনিজ সম্পদ কোনটি?
উত্তর :- কয়লা।
২০) ইউরোপ তথা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি?
উত্তর :- ভ্যাটিক্যান সিটি।
২১) রূঢ় অঞ্চলে কি ধরনের কয়লা পাওয়া যায়?
উত্তর :- অ্যানথ্রাসাইট।
২২) জার্মানির ম্যাঞ্চেস্টার কাকে বলা হয়?
উত্তর :- গ্ল্যাডবাক শহরকে।
২৩) লন্ডন অববাহিকার আকৃতি কেমন?
উত্তর :- মাটির সরার মতো।
২৪) লন্ডন অববাহিকার ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর :- প্রায় ৭৭৬০ বর্গ কিমি।
২৫) লন্ডন অববাহিকার প্রধান নদী কোনটি?
উত্তর :- টেমস।
২৬) লন্ডন অববাহিকার প্রধান বিমান বন্দর কোনটি?
উত্তর :- হিথরো।
২৭) টেমস নদীর দুটি উপনদীর নাম লেখো।
উত্তর :- লি, রোডিং, ওয়ে, মোল।
২৮) রূঢ় অঞ্চলে কোন দুই শহরকে জার্মানির শেফিল্ড বলে?
উত্তর :- সেলিঙ্গেন ও রেমসিড।
২৯) লন্ডন অববাহিকার আকৃতি ইংরেজি কোন অক্ষরের মতো?
উত্তর :- V অক্ষরের মতো।
৩০) ইংরেজি "বেসিন" শব্দটির অর্থ কি?
উত্তর :- অববাহিকা।
৩১) লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলে কি ধরনের জলবায়ু দেখা যায়?
উত্তর :- ব্রিটিশ জলবায়ু।
৩২) ইউরোপের বৃহত্তম পুনঃ রপ্তানি বন্দর কোনটি?
উত্তর :- লন্ডন।
৩৩) পোল্ডার ভূমি শব্দের অর্থ কি?
উত্তর :-সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা নিচু সমতল ভূমি।
৩৪) নেদারল্যান্ডে কত শতাব্দীতে প্রথম পোল্ডারল্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়?
উত্তর :- একাদশ শতাব্দীতে।
৩৫) সবচেয়ে বড় পোল্ডার ভূমি কোনটি?
উত্তর :- দুইবার জি প্রকল্প।
৩৬) নেদারল্যান্ডের রাজধানীর নাম কি?
উত্তর :- আমস্টারডাম।
৩৭) 'নেদারল্যান্ড' - কথাটির অর্থ কি?
উত্তর :- নিচু জমি।
৩৮) কোন শহরকে উত্তরের ভেনিস বলা হয়?
উত্তর :- আমস্টারডাম শহরকে।
৩৯) পোল্ডার ভূমি অঞ্চলে চাষ হয় এমন দুটি ঘাসের নাম লেখো।
উত্তর :- হে, আলফা - আলফা।
৪০) কোন শহরকে রুঢ়ের রানী বলা হয়?
উত্তর :- এসেন শহরকে।
* * প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ * *
১) হাজার হ্রদের দেশ কাকে বলা হয় এবং কেন?
উত্তর :- ইউরোপের ফিনল্যান্ডে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি হ্রদ থাকার জন্য ফিনল্যান্ডকে হাজার হ্রদের দেশ বলা হয়।
২) রূঢ় শিল্পাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- রূঢ় শিল্পাঞ্চলটি জার্মানির উত্তর-পশ্চিমাংশের রুঢ় এবং রাইন নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে রূঢ় নদীর নাম অনুসারে এই নদী ও তার কাছাকাছি অঞ্চলে যে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে তাকে রূঢ় শিল্পাঞ্চল বলে।
৩) ট্রাক ফার্মিং কাকে বলে?
উত্তর :- লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলে শহরের বিপুল সংখ্যক লোকের চাহিদা মেটানোর জন্য শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ছোট ছোট খামারে শাকসবজি ও ফলের চাষ করা হয় এবং তা ট্রাকে করে শহরে পাঠানো হয় বলে একে ট্রাক ফার্মিং বলে।
৪) জুইডার জি প্রকল্প কি?
উত্তর :- নেদারল্যান্ডসের বৃহত্তম পোল্ডার ভূমি প্রকল্প হল জুইডার জি প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ৩০ কিমি এক বাঁধ দিয়ে নরল্যান্ড - ফ্রিজল্যান্ড প্রদেশকে যুক্ত করে ইজেল হ্রদের দক্ষিনে ইসেলমীয়া নামে এক নতুন পোল্ডার ভূমি গঠন করা হয়।
৫) পোল্ডার ভূমি অঞ্চলের জলবায়ুর বর্ণনা দাও।
উত্তর :- পোল্ডারল্যান্ড শীতল নাতিশতোষ্ণ মন্ডলে অবস্থিত। তবে উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রস্রোত এই অঞ্চলের পাশ দিয়ে যায় বলে এখানকার জলবায়ু সমভাবাপন্ন। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে সারা বছরই বৃষ্টি হয়। তবে এর পরিমাণ খুবই কম ( বার্ষিক গড়ে ৭০ সেমি )।
৬) পোল্ডার ভূমি কাকে বলে?
উত্তর :- সাধারণত আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে অগভীর সমুদ্রগর্ভ বা জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা ভূমিকে পোল্ডার ভূমি বলা হয়। নেদারল্যান্ড দেশের সমুদ্রগর্ভ ভরাট করে যে নিচু সমতলভূমি সৃষ্টি করা হয়েছে, তাকে ডাচ ভাষায় পোল্ডারভূমি বলা হয়।
** প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫ **
১) ইউরোপ মহাদেশের সমৃদ্ধির কারণ গুলি আলোচনা করো।
অথবা
ইউরোপ মহাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তর :- ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণ গুলি হল -
অবস্থানগত সুবিধা :- ইউরোপ মহাদেশটি উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় সব মহাদেশের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা লাভ করেছে।
ভগ্ন উপকূল :- ইউরোপ মহাদেশের ভগ্ন উপকূল আদর্শ বন্দর ও প্রত্যাশ্রয় গড়ে তোলার পক্ষে বিশেষ উপযোগী।
নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু :- ইউরোপ মহাদেশের সমভাবাপন্ন নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু এখানকার অধিবাসীদের বেশ কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে তুলেছে।
বনজ সম্পদের প্রাচুর্য :- তৈগা বনভূমি নরম কাঠ কাগজ, জাহাজ নির্মাণ প্রভৃতি শিল্পের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র :- ইউরোপের পশ্চিম উপকূলে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র।
উন্নত কৃষিব্যবস্থা :- ইউরোপ মহাদেশ কৃষি কাজে যথেষ্ট উন্নত। এখানে প্রচুর পরিমাণে গম, বার্লি, বিট প্রভৃতি চাষ হয়।
খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য :- এই মহাদেশ কয়লা, পেট্রোলিয়াম, লৌহ আকরিক, তামা, দস্তা প্রভৃতি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ।
শিল্পোন্নতি :- খনি সম্পদ, বিদ্যুৎ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভৃতি কারণে ইউরোপ পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শিল্পোন্নত মহাদেশ।
এইসব কারণে ইউরোপ মহাদেশ সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
২) রূঢ় শিল্পাঞ্চলের শিল্পোন্নতির কারণ গুলি কি কি?
উত্তর :- জার্মানির আইন ও তার দুই উপনদীকে কেন্দ্র করে রূঢ় শিল্পাঞ্চল অবস্থিত। এই অঞ্চলের শিল্প উন্নতির কারণগুলি হল -
স্থানীয় কয়লা :- প্রধান খনিজ সম্পদ কয়লা, এই শিল্পাঞ্চলের প্রাণ। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে অ্যানথ্রাসাইট ও বিটুমিনাস জাতীয় কয়লা পাওয়া যায়।
উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা :- এই অঞ্চলের রেল, সড়ক ও জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা খুব উন্নত।
সুলভ লৌহ আকরিক :- এই অঞ্চলের প্রতিবেশী সুইডেন, ফ্রান্স, স্পেন প্রভৃতি অঞ্চল থেকে অতি সহজেই লৌহ আকরিক পাওয়া যায়।
সুলভ শ্রমিক :- ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় শিল্পে শ্রমিকের অভাব হয় না।
শক্তি সম্পদের প্রাচুর্য :- স্থানীয় জলবিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ এই শিল্পের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
জল সরবরাহ :- শিল্পের প্রয়োজনীয় জল রাইন নদী ও তার উপনদী থেকে পাওয়া যায়।
এছাড়া মূলধন, বাজার, সরকারি নীতি ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা রূঢ় অঞ্চলের শিল্পোন্নতিতে সাহায্য করেছে।
৩) লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবেশের পরিচয় দাও।
উত্তর :- ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ - পূর্বদিকে প্রবাহিত টেমস নদীর উভয় তীরে লন্ডন অববাহিকা গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবেশ নিম্নরূপ -
কৃষিকাজ :- ঘনবসতি ও শিল্পোন্নত বলে লন্ডন অববাহিকায় উন্নত যন্ত্রপাতির সাহায্যে মিশ্র কৃষির মাধ্যমে কৃষি কাজ করা হয়। এখানকার গম, গাজর, আলু, কফি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, যব, ভুট্টা প্রধান কৃষিজাত ফসল।
পশুপালন ও মৎস্য আহরণ :- লন্ডন অববাহিকায় মেষ, ভেড়া, শুকর, হাঁস, মুরগি প্রভৃতি পালন করা হয়। ডেন্স নদীর উভয় তীরে প্রচুর মাছ আহরণ করা হয়।
শিল্প :- লন্ডন অববাহিকায় গঠিত শিল্পাঞ্চল শুধুমাত্র ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিল্পাঞ্চল। এখানকার উল্লেখযোগ্য শিল্প গুলি হল - কার্পাস বয়ন শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, রাসায়নিক শিল্প, মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ইত্যাদি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন