প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা, আজ আমরা এই অংশে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল বিষয়ের সপ্তম অধ্যায় জল দূষণ অংশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর গুলি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এই প্রশ্ন - উত্তর গুলি তোমরা অনুশীলন করলে আগামী বার্ষিক পরীক্ষায় ভূগোল বিষয়ে খুব ভালো ফলাফল করতে পারবে।
এই অধ্যায়টি বার্ষিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ছোট এবং বড় মিলিয়ে একাধিক প্রশ্ন আসবে। তাই তোমরা ভালো ফলাফলের জন্য এই প্রশ্নোত্তর গুলি অবশ্যই মুখস্থ করবে।
Some Important Geography questions and the answer for the students of class 7 of West Bengal board of secondary education WBBSE. Chapter number 7, Jol Dhushon (Water Pollution ).
সপ্তম অধ্যায়
জল দূষণ
১) জল দূষণ কাকে বলে?
উত্তর :- জলে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত রাসায়নিক বা জৈব পদার্থ, জীবাণু মিশে গিয়ে জল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেলে এবং জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে গেলে, তাকে জল দূষণ বলে।
২) পৃথিবীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখো।
উত্তর :- স্বাদুজল।
৩) কয়েকটি ধাতব দূষকের নাম লেখো।
উত্তর :- জিংক, পারদ, সিসা।
৪) আর্সেনিক দূষণের ফলে কি রোগ হয়?
উত্তর :- ব্ল্যাকফুট ব্যাধি।
৫) পারদ দূষণের ফলে কি রোগ হয়?
উত্তর :- মিনামাটা।
৬) ফ্লুওরাইড দূষণের ফলে কি রোগ হয়?
উত্তর :- ফ্লুরোসিস।
৭) আম্লীগ জলে pH এর মান কত?
উত্তর :- সাতের বেশি।
৮) পানীয় জলে আর্সেনিকের অনুমোদিত মাত্রার পরিমাণ কত?
উত্তর :- লিটার প্রতি ০.০৫ মিলিগ্রাম।
৯) জলে বা জলীয় দ্রবণের অম্লত্ব ক্ষারত্ব প্রকাশ করা হয় কোন মানের সাহায্যে?
উত্তর :- pH এর সাহায্যে।
১০) পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় আর্সেনিক দূষণ বেশি?
উত্তর :- দক্ষিণ 24 পরগনা, মালদা, নদিয়া, হুগলি হাওড়া।
১১) দুটি জল বাহিত রোগের নাম লেখো
উত্তর :- টাইফয়েড, কলেরা।
১২) ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে মানুষের কি রোগ হয়?
উত্তর :- ইটাই - ইটাই।
১৩) কোন দিনটি জল দিবস হিসেবে পালন করা হয়?
উত্তর :- ২২ মার্চ।
১৪) একটি বিষাক্ত ভারী ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর :- পারদ।
১৫) পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যবহৃত একটি তেজস্ক্রিয় দূষকের নাম লেখো।
উত্তর :- ইউরেনিয়াম।
১৬) তেলদূষণের ফলে জিভের মৃত্যু হওয়ার প্রক্রিয়াকে কি বলে?
উত্তর :- হাইপোথারমিয়া।
১৭) মিনামাটা রোগ কোন দেশে দেখা গিয়েছিল?
উত্তর :- জাপানে ( ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে )।
১৮) পানীয় জল জীবাণুমুক্ত করতে কোন মৌল ব্যবহার করা হয়?
উত্তর :- ক্লোরিন।
১৯) গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কত খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত হয়?
উত্তর :- ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
২০) ভারতে জল দূষণ রোধের আইন কত সালে প্রণীত হয়?
উত্তর :- ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে।
২১) DDT এর পুরো নাম কি?
উত্তর :- ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ২
১) BOD কাকে বলে?
উত্তর :- BOD বলতে বোঝায় বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা জৈব অক্সিজেন চাহিদা। এর দ্বারা জলের গুনাগুন পরিমাপ করা যায়। জলে অক্সিজেন উপস্থিত না থাকলে জীবের পক্ষে বাঁচা সম্ভব নয়, তাকেই জৈবিক অক্সিজেনের চাহিদা বলে।
২) COD কাকে বলে?
উত্তর :- COD বলতে বোঝায় কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা জৈব অক্সিজেন চাহিদা। এর দ্বারা জল দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
৩) কৃষি ক্ষেত্র থেকে কিভাবে জল দূষণ ঘটে?
উত্তর :- চাষের খেতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ব্যবহার করা হয়। এগুলি বৃষ্টির জল দ্বারা বাহিত হয়ে পুকুর, খাল, বিল, নদীতে গিয়ে মিছে জল দূষিত করে।
৪) তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে কিভাবে জল দূষণ ঘটে?
উত্তর :- পারমাণবিক চুল্লি, চিকিৎসা কেন্দ্র বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো ব্যবহারের পর সমুদ্র বা নদীতে ফেলা হয়। পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় পদার্থ জলে মিশে জল দূষণ ঘটায়।
৫) ইউট্রোফিকেশন কি?
উত্তর :- ইউট্রোফিকেশন হলো এক প্রকারের পরিপোষক বা পুষ্টিকর পদার্থঘটিত জল দূষণ। সাবান ডিটারজেন্টের ফসফেট বদ্ধ পুকুর, জলাশয়ের জলে মিশলে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল, আগাছা, কচুরিপানা বেড়ে যায়। এর ফলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণীরা মারা যায়। একে ইউট্রোফিকেশন বলে।
৬) ব্ল্যাক ফুট ব্যাধি কি?
উত্তর :- আর্সেনিক দূষণের ফলে হাতের চেটো ও পায়ের তলায় যে কালো কালো ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তাকে ব্ল্যাকফুট ব্যাধি বলে।
৭) জৈব বিবর্ধন কাকে বলে?
উত্তর :- খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থের যে ক্রমবর্ধমান সঞ্চয় হয় তাকে জৈব বিবর্ধন বলে।
৮) জল দূষণ প্রতিরোধের উপায় আলোচনা করো।
উত্তর :- জল দূষণ প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত উপায় গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে।
i ) জলাশয়, নদী বা সমুদ্রের জলে নোংরা আবর্জনা সরাসরি ফেলা যাবে না, গরু - মোষ স্নান করানো বা কাপড় কাচা বন্ধ করতে হবে।
ii ) চাষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
iii ) শহর এবং কলকারখানার দূষিত, বর্জ্য জল শোধন করে তবেই নদী বা সমুদ্রে ফেলা উচিত।
iv ) তাপ বিদ্যুৎ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য গরম জল ঠান্ডা করে তবেই নদীবা সমুদ্রে ফেলা উচিত।
v ) আর্সেনিকের প্রভাব কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিশুদ্ধ জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন